ক্ষোভে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে কেন্দ্র ছাড়লেন তিথি

| আপডেট :  ২ অক্টোবর ২০২১, ০৭:০৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ অক্টোবর ২০২১, ০৭:০৪ অপরাহ্ণ

গোপালগঞ্জের তিথি রায়ের স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। এ জন্য ভালো প্রস্তুতিও নেন। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে খুব সকালে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু বরিশাল নগরের তীব্র যানজট পথেই আটকে দেয় তিথিকে।

যতক্ষণে কেন্দ্রে পৌঁছান, ততক্ষণে পার হয়ে যায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার নির্ধারিত সময়। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ছিল বেলা ১১টা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তিথি পৌঁছান ১১টা ২৫ মিনিটে। তখন ভেতরে ঢোকার অনুমতি না মেলায় কান্নায় ভেঙে পড়েন এই শিক্ষার্থী।

স্বজন ও আশপাশের লোকজন তখন তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে রাগে-ক্ষোভে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে ফেলে কেন্দ্র ত্যাগ করেন তিথি ও তাঁর স্বজনেরা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রে দেরিতে আসায় তিথিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসির সদস্যরা তাঁকে বাধা দেন। তিথিকে কাঁদতে দেখে সান্ত্বনা দিতে আসেন আশপাশে থাকা ঢাকা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও।

তিথির সঙ্গে আসা মা গীতা রায় বলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য খুব সকালে গোপালগঞ্জ থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু বরিশাল নগরীর চৌমাথা ও সাগরদী এলাকায় যানজটে আটকে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। গীতা রায় আক্ষেপ করে বলেন, ‘মেয়েটার এত দিনের কষ্ট সব জলে গেল। কীভাবে যে ওকে সান্ত্বনা দেব, কিছুই বুঝতে পারছি না।’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিধি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে ঢোকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

কিন্তু তিথি রায় নামের ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর অন্তত ২৫ মিনিট পরে কেন্দ্রে উপস্থিত হন। যদি ১১টার দু-এক মিনিট পরেও আসতেন, তাহলেও বিষয়টি বিবেচনা করা যেত। শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থার কথা ভেবে বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদলকে জানালে তারাও ওই পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। সুত্রঃ প্রথম আলো