সব
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের একসাথে বসবাস করতে দেখা গিয়েছে। আর এর ফলে এক ধর্মের মানুষদের উৎসবের আমেজ স্পর্শ করেছে অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও। ঈদ কিংবা দুর্গোপুজোর মত উৎসবগুলো পরিণত হয়েছে সার্বজনীন উৎসবে।
কিন্তু একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে নিজের শৈশবের দুর্গাপূজায় অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন মীরাক্কেল খ্যাত মীর আফসার আলি। মুসলমান হয়েও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবে অংশগ্রহণ করায় এবং সেই স্মৃতিচারণ করায় অনেকেই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষ করেছেন। আর এর জেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মির
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিওটি শেয়ার করে এ বিষয়ে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘নিজেকে আমি বারবার খুঁজে পেয়েছি, ইনোভেট করেছি নতুন আমিকে। সেরকম একটা গল্প, একটা অনুভূতি শেয়ার করছি আপনাদের সঙ্গে… যদিও ইতিমধ্যে ধর্মের নামে কিছু বিজ্ঞ মানুষ জ্ঞান ফলাতে চলে এসেছেন। এত যুগ বাদেও মানুষকে বোঝানো গেল না যে ধর্ম যার যার নিজের ব্যাপার কিন্তু *উৎসব* সবার।
যাক গে। বড় বড় মনীষিরা যেটা করে যেতে পারেননি, সেটা আমার মতন একজন অতি সামান্য ক্ষুদ্র মানুষ কি করে পারবে। এত দিন বাদেও এটা যিনি বুঝে উঠতে পারলেন না, তিনি ভবিষ্যতেও পারবেন না। তার জন্য করুণা। আর বুক ভরা ভালবাসা।
এই ভিডিওটি হতে পারে একটি বিজ্ঞাপনী প্রচার কিন্তু এর মাধ্যমে বলা কথাগুলো আমার ছেলেবেলার সঙ্গে যুক্ত। বহু কষ্টে বেড়ে ওঠার সময়কার এক অধ্যায়। যেদিন মির্চির অফিসে বসে এটা নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছিল, ভেবেছিলাম আমার ক্ষুদ্র জীবনের এই বিশেষ পর্বটা মানুষের মন ছুঁয়ে যাবে, একটু হলেও তাঁদের বাবা-মা, তাদের শৈশবের দিনগুলোয় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এখন দেখছি মস্ত বড় ভুল করেছি।
যাই হোক… বড় একটা শিক্ষা হল আমার। অশেষ ধন্যবাদ তাদের যারা বার বার মনে করিয়ে দেন আমি শুধুই একজন মুসলমান, আর অন্য কোনো পরিচয় নেই মীরের। আপনারা ভালো থাকবেন। বড্ড হতাশ হলাম। আবার।’
প্রসঙ্গত, ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ মীর আফসার আলি। বিশেষ করে জনপ্রিয় শো মীরাক্কেল উপস্থাপনার মাধ্যমে দুই বাংলায়ই ব্যপক পরিচিত হয়ে উঠেছেন এই অভিনেত।