রিং আইডির পরিচালক সাইফুল গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড চাইবে সিআইডি

| আপডেট :  ২ অক্টোবর ২০২১, ০২:১৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ অক্টোবর ২০২১, ০২:১৩ অপরাহ্ণ

রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শুক্রবার গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।

তিনি জানান, রিং আইডিতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন- এমন অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একজনের করা মামলায় সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।

নিজের শরীর ও সৌন্দর্যের বিনিময়ে যেভাবে আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের দেশি এজেন্ট হলেন মর্জিনা
মর্জিনা আক্তার। কথা বলেন শুদ্ধ ভাষায়। চেহারায় লাবণ্যতা। সহজেই পুরুষদের আকৃষ্ট করতে পারেন তিনি। এক সময় সৌদি আরবে ছিলেন। বিদেশের মাটিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তারপর ঢাকায় ফিরে পড়েন আর্থিক টানাপড়েনে। হাঁটেন ভিন্নপথে। নিজের শরীর ও সৌন্দর্যের বিনিময়ে অর্থ আয় করেন। সেই মর্জিনা হঠাৎ বনে যান কাস্টমস অফিসার। এই পরিচয়ে ফোনে কথা বলেন। বিদেশ থেকে আসা পণ্য খালাসের নামে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। সর্বস্ব হারিয়ে অনেকেই দ্বারস্থ হয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মর্জিনাসহ তিনজনকে। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে তারা। এমনকি অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মর্জিনা। ৩০ বছর বয়সী মর্জিনাকে ব্যবহার করতো আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্র। এই চক্রের হোতাদের একজন শহীদুল ইসলাম।

শহীদুলই চক্রের সঙ্গে যুক্ত করে মর্জিনাকে। প্রায় এক বছর আগে মিরপুরে মর্জিনার সঙ্গে পরিচয় তার। খদ্দের হিসেবে তাকে এক ঘণ্টার জন্য ভাড়া করেছিল শহীদুল। তারপর একটি আবাসিক হোটেলে সময় কাটায় তারা। সেখানেই শহীদুল তাকে প্রস্তাব দেয় এই চক্রে জড়িত হওয়ার। শহীদুল জানায়, এভাবে শরীর বিক্রি করে আর কতো টাকা আয় করা যায়। তার চে’ বসে বসে অনেক টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। কাজটা সহজ। শুধু ফোনে কথা বলা। সব শুনে রাজি মর্জিনা। তারপর প্রশিক্ষণ দেয় শহীদুল নিজেই। প্রথম কাজ দেয়া হয় তাকে, ব্যাংকে কিছু একাউন্ট করাতে হবে। একাউন্ট যাদের নামে হবে তাদের প্রত্যেককে দেড় হাজার করে টাকা দেয়া হবে। একাউন্টের (স্বাক্ষরসহ) চেক বই, পাসওয়ার্ডসহ এটিএম কার্ড সব থাকবে শহীদুলের কাছে। প্রথম এসাইনমেন্টেই সফল মর্জিনা।
ডিম বিক্রেতা সজীব আহমেদ, অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ শরীফ হোসেনকে দিয়ে দু’টি একাউন্ট করানো হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তার তিনজন ও মূলহোতা শহীদুলসহ চারজনের নামে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ৭০টি একাউন্ট রয়েছে। এসব একাউন্টে লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ শরীফ হোসেনের আটটি ব্যাংকের হিসাবে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার ২৩ টাকা। ডিম বিক্রেতা সজীব আহমেদের ২২টি একাউন্টে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ২ লাখ ৪ হাজার ৩শ’ ৪৯ টাকা। শহীদুলের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৫শ’ ৫০ টাকা।