কিশোরী পান্নাকে স্ত্রীর মতো ভোগ করতেন, ক্ষোভ থেকে খুন

| আপডেট :  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:১২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:১২ অপরাহ্ণ

বছরের পর বছর কি’শোরী পান্না বেগমকে স্ত্রীর মতো ভোগ করে আসছিলেন আব্দুল হক মোবাশ্বির (৫৯)। পান্নার বয়স যখন মাত্র ১৪ বছর তখন থে্ে শুরু হয় তার উপর যৌ’ন নি’পীড়ন। এরপর মোবাশ্বিরের নি’পীড়নে কয়েকবার গ’র্ভপাতও ঘটে পান্নার। এসব অ’ত্যাচার সহ্য না করতে পরেই মোবাশ্বিরকে খু’ন করেন পান্না।

সিলেটে আব্দুল হক মোবাশ্বিরকে (৫৯) খু’নের র’হস্য উদঘাটিত হয়েছে। ১৯ বছরের ত’রুণী পান্না বেগম আ’দালতে হ’’ত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি আ’দালতে জানান- আ’পত্তিকর ভিডিও ধারণের পর জি’ম্মি করায় তিনি মোবাশ্বিরকে খু’ন করেন। পান্না তার স্বী’কারোক্তিতে বলেছেন, মোবাশ্বির আপাদ-মস্তক একটা ল’ম্পট। ম’দ খেয়ে নারী নিয়ে ফুর্তি করাই ছিল তার নে’শা। মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়সে আমাকে যৌ’ন নি’পীড়ন শুরু করে। এরপর সেসব অ’পকর্মের ভিডিও রেকর্ড করে রাখে মোবাইলে। ওই ভিডিও দেখিয়ে জি’ম্মি ও পরবর্তীতে বিয়ে করে বিদেশে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে স্ত্রীর মতো ভোগ করতে থাকে।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিয়ের কাগজ তৈরি করে। পরে গর্ভের স’ন্তান ন’ষ্ট করে ফে’লেন মোবাশ্বির। এরপর দ্বিতীয় দফায় আবার গর্ভবতী হলে সেই দফায়ও স’ন্তান ন’ষ্ট করে ফে’লে। প্র’তারণার মাধ্যমে ভুয়া বিয়ের কাগজ তৈরি, দুই দফায় স’ন্তান ন’ষ্টের পরও স্ত্রীর সামাজিক মর্যাদা দেননি। বিয়ের পরও স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে তাকে রেখে লাভ কী, এমন ধারণা থেকে মোবাশ্বিরকে খু’ন করেন পান্না।

রোববার সিলেট মেট্রোপলিটন ২য় আ’দালতের বিচারক সুমন ভুঁইয়ার কাছে এই স্বী’কারোক্তি দেন পান্না বেগম। আ’দালতের নির্ভরযোগ্য সূত্র এমন তথ্য দিয়েছে। স্বী’কারোক্তির পর আ’সামি পান্না বেগমকে কা’রাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের। স্বী’কারোক্তিতে পান্না

বেগম একাই আব্দুল হক মোবাশ্বিরকে খু’ন করেছে বলে দাবি করেছেন। তার বর্ণনা মতে, মোবাশ্বিরের ম’দপানের অভ্যাস ছিল। ঘটনার দিন ম’দের সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ায় পান্না। এরপর মোবাশ্বির পান্নাকে নিয়ে অনেকক্ষণ ফুর্তি করার পর ঘুমিয়ে পড়ে। পান্না ঘুমন্ত মোবাশ্বিরের গ’লায় তার দিয়ে পেঁ’চিয়ে হ’’ত্যা করে।

পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর আড়াইটায় দক্ষিণ সুরমার চান্দাই থেকে গ্রে’ফতার করা হয় পান্নাকে। তিনি দক্ষিণ সুরমার চান্দাইয়ের রবিউল আলমের মেয়ে। মোবাশ্বিরের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসাবে ছিল পান্নার বাবা মা। ওই সুযোগে শি’শুকন্যা পান্নার ও’পর কুনজর পড়ে মোবাশ্বিরের। শনিবার দক্ষিণ সুরমার ময়ুরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারের পার্শ্ববর্তী আব্দুল হক মোবাশ্বিরের মালিকানাধীন হাউজিং প্রকল্পের টিনশেডেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হ’’ত্যা করা হয়। মোবাশ্বির মোগ’লাবাজার থানার সিলাম শেখপাড়ার মৃ’ত ফজলুল হকের ছেলে। শনিবার রাত ১০ টায় মোবাশ্বিরের লা’শ উ’দ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় মোবাশ্বিরের বড় ভাই মুহিবুল হক দক্ষিণ সুরমা থানায় মা’মলা দা’য়ের করেন। মোবাশ্বির লন্ডন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা ও সিলেট জে’লা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃ’ত তালাত আজিজের মেজো ভাই। তিনি লন্ডনে থাকতেন। গত কয়েক বছর তিনি দেশে অবস্থান করছিলেন লন্ডনে স্ত্রী স’ন্তান রেখে।