এসএমএসেই ফেঁসে গেলেন প্রেমিক

| আপডেট :  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

প্রেমিকাকে ধ”ণের পর হ’’ত্যা করে ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন প্রেমিক পার্থ মণ্ডল। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়লেন তিনি। মূলত, দশম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা দাসের হ’’ত্যাকারী যে প্রেমিক পার্থ সেটা পরিষ্কার হয়ে যায় মোবাইলের এসএমএসেই।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অ’পরাধ) মো. সজিব খানের নেতৃত্বে দেবহাটা থানার ওসি ফরিদ আহমেদসহ সাতক্ষীরা জে’লা গো’য়েন্দা (ডি’বি) পুলিশের একটি চৌকস দল সাতক্ষীরা সদর উপজে’লার কাথন্ডা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালানোর প্রস্তুতিকালে তাকে গ্রে’ফতার করতে সক্ষম হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে নি’হত পূর্ণিমা দাসের বাবা টিকেট গ্রামের শান্তি দাস বা’দী হয়ে তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁ’দে ফে’লে মোবাইলের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধ”ণ ও হ’’ত্যার ঘটনায় পূর্ণিমার প্রেমিক একই এলাকার শিবপদ মণ্ডলের ছেলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী পার্থ মণ্ডলকে একমাত্র আ’সামি করে দেবহাটা থানায় মা’মলা দা’য়ের করেন। মা’মলা নং-১১।

এদিকে হ’’ত্যাকাণ্ডের পর থেকে পার্থ মণ্ডলকে গ্রে’ফতারে দেবহাটাসহ সাতক্ষীরা শহরের সম্ভাব্য একাধিক স্থানে চিরুনি অ’ভিযান চা’লায় দেবহাটা থানা পুলিশ, জে’লা গো’য়েন্দা পুলিশ (ডি’বি), র‌্যা’পিড অ্যা’কশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যা’ব) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একাধিক দল।

চাঞ্চল্যকর এ মা’মলার একমাত্র আ’সামি পার্থ মণ্ডলকে গ্রে’ফতারের বি’ষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ওসি (চলতি দায়িত্ব) ফরিদ আহমেদ বলেন, স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা দাসকে ধ”ণ ও হ’’ত্যার ঘটনায় মা’মলা দা’য়েরের পর থেকে একমাত্র আ’সামি পূর্ণিমার প্রেমিক পার্থ মণ্ডলকে দ্রুততম সময়ে গ্রে’ফতার করতে সম্ভাব্য একাধিক স্থানে অ’ভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

সর্বশেষ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প’লাতক পার্থ মণ্ডলের অবস্থান শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ভারতে পালানোর প্রস্তুতিকালে সদরের কাথন্ডা সীমান্ত থেকে তাকে গ্রে’ফতার করতে সক্ষম হই। গ্রে’ফতার পরবর্তী পার্থ মণ্ডলকে সাতক্ষীরা ডি’বি পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সংক্রান্ত আরোও বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলেও জানান ফরিদ আহমেদ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়ে রাতভর নি’খোঁজ ছিল উপজে’লার টিকেট গ্রামের শান্তি দাসের মেয়ে গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা দাস। পরদিন শুক্রবার সকালে একই এলাকার তারক মণ্ডলের পরিত্যক্ত বাড়ির সবজি বাগান থেকে পূর্ণিমার ম’রদেহ উ’দ্ধার করে পুলিশ। ম’রদেহের কিছুটা দূরে পড়ে থাকা ভি’কটিমের বই-খাতা, জুতা ও গো’পনে ব্যবহার করা পূর্ণিমার একটি মোবাইল ফোনও আলামত হিসেবে উ’দ্ধার করে পুলিশ।

যার ক্ষুদে বার্তায় দেখা যায়, নি’খোঁজের আগ মুহূর্তে পূর্ণিমাকে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এসএমএস করেছিল তার প্রেমিক পার্থ মণ্ডল। পরিবারের সদস্যদের নজর এড়িয়ে পূর্ণিমা ওই মোবাইল ফোনটি গো’পনে ব্যবহার এবং পার্থ মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পরে উ’দ্ধারকৃত মোবাইলের কললিস্ট অ্যানালাইসিসসহ তাতে পাওয়া প্রেমিক পার্থ মণ্ডলের নাম্বার ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রাথমিক ত’দন্তসহ পার্থ মণ্ডলকে গ্রে’ফতারের অ’ভিযান শুরু করে পুলিশ। ম’রদেহটি উ’দ্ধারকালে নি’হত পূর্ণিমার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে যৌ’ন নি’র্যাতন এবং গ’লায় শ্বা’সরো’ধের সুস্পষ্ট চিহ্নও দেখা যায়। যা থেকে পূর্ণিমাকে ধ”ণ ও পরে শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যার বি’ষয়টি প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পুলিশ।