মানুষের টাকা-পয়সা, সম্পদ লুটে আয়েসি জীবন বেছে নিয়েছেন চার যুবক (ভিডিও)

| আপডেট :  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:১১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:১০ অপরাহ্ণ

আলাদিনের প্রদীপ নামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলেই, রাতারাতি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেছেন সিরাজগঞ্জের কয়েক যুবক। একই অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মত চটকদার বিজ্ঞাপন ও বিশাল ছাড়ের ফাঁদে ফেলে, লুটে নিয়েছেন গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা। অফিসে তালা দিয়ে টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক।

কথায় আছে পরের ধনে পোদ্দারি। মানুষের টাকা-পয়সা, সম্পদ লুটে আয়েসি জীবন বেছে নিয়েছেন সিরাজগঞ্জের চার যুবক। সদর উপজেলার বেড়াবাড়ি গ্রামের জুয়েল রানা। স্বল্পশিক্ষিত এই তরুণ জেলা প্রশাসনের লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রজেক্টের প্রশিক্ষন শেষে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তোলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম। যার পরিচালক ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী মাসুদ পারভেজ।

একইভাবে জেলার তাড়াশ উপজেলার নিভৃতপল্লির সন্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, মেহেদী হাসান মুন এবং মাহমুদ হাসানও গড়ে তোলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলাদিনের প্রদীপ। শহরের এম এ মতিন সড়ক ও কাঠেরপুল এলাকায় দুটি অফিস নিয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন ও বিশাল ছাড়ের লোভ দেখিয়ে, অর্ডারের বিপরীতে শুরু করেন অগ্রীম অর্থ আদায়। দুটি প্রতিষ্ঠান প্রায় সোয়া চার লাখ অর্ডারের বিপরীতে সংগ্রহ করে অগ্রিম দুশ’ ৫ কোটি টাকা। অল্প সময়ে কোটিপতি বনে বিলাসী জীবনযাপন শুরু করেন প্রতারকরা।

বাণিজ্য মন্ত্রনালয় কতৃক কালো তালিকাভুক্ত হওয়া দেশের ১৫টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকা এই প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ি, পণ্য প্রদান ও টাকা রিফান্ড করার পরেও এখনো গ্রাহকদের নিকট বকেয়া রয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। বিপুল পরিমান অর্থ বকেয়া রেখে প্রতিষ্ঠান দুটির কর্ণধারেরা আত্মগোপনে যাওয়া ও নগদ একাউন্ট বন্ধ থাকায় বিভ্রান্তি ও হতাশায় ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা।

আত্মগোপনে যাওয়ার আগে চার যুবক গ্রাহকদের নানা আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
‘আলাদীনের প্রদীপডটকম’-এর সিইও মেহেদী হাসান মুন মোবাইলে ফোনে বলেন, নগদের ঝামেলার কারণে ঢাকায় আছি। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান বলেন, এক লাখ ২০ হাজার গ্রাহকের ৮৫ কোটি টাকার অর্ডারের বিপরীতে মাত্র ৫ কোটি টাকা বকেয়া আছে। নগদের ঝামেলা না থাকলে এসব বকেয়াও থাকত না।

এদিকে সিরাজগঞ্জশপডটকম’র এমডি আকরাম হোসেন ও সিইও জুয়েল রানাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামে গেলে জুয়েল রানার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, জুয়েল এরই মধ্যে গ্রাহকের ১২৫ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে শুনেছি। ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ না করলে বাকি ৮-১০ কোটি টাকাও হয়তো ফেরত দিত। আরটিভি নিউজ