স্ত্রীর প্রযোজিত চলচ্চিত্রেও পারিশ্রমিক নিলেন ফারুকী

| আপডেট :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:০৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:০৩ অপরাহ্ণ

নুসরাত ইমরোজ তিশা। তারকা অভিনেত্রী, মডেল, উপস্থাপক ও প্রযোজক। সম্প্রতি ২৬তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘কিম জি সুক অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনীত হয়েছে তার প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত এই চলচ্চিত্র ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-

২৬তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘কিম জি সুক পুরস্কার’-এর জন্য আপনার প্রযোজিত ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছবিটি মনোনয়ন পেল, কেমন লাগছে?
শুধু আমি নই, যারা ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছবির সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে আছি, সবার জন্যই এটা আনন্দের খবর। আমার জন্য বাড়তি ভালো লাগা এটাই যে, নিজের প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘কিম জি সুক অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।

এর আগেও বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন। এবারের সফর কি আগের চেয়ে কিছুটা অন্য রকম মনে হচ্ছে?

এর আগে বুসানে গিয়েছি অভিনেত্রী হিসেবে। এবারের সফরে অভিনেত্রী নই, প্রযোজক পরিচয়ে যাওয়া। আলাদা বলতে এটুকুই। কোনো উৎসবে প্রযোজক কিংবা অভিনেত্রী যে পরিচয়ে যা-ই না কেন, নিজেদের কাজটি দর্শকের মনে কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করল- সেটা জানার আগ্রহই বেশি থাকে। আসলে ভালো কিছু করার জন্য আমরা যখন নিবেদিত থাকি, তখন এই প্রত্যাশা থাকে, পরিকল্পনামাফিক যেন কাজটি শেষ হয়। সেটা করতে পারলেই নানা শ্রেণির দর্শক মতামত জানার আগ্রহ জাগে। সে জন্যই বিভিন্ন উৎসবে ছবি প্রদর্শনের এই চেষ্টা।

‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছবির সঙ্গে বিশ্বনন্দিত সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

অবশ্যই আমাদের জন্য এটা বড় একটি পাওয়া। সত্যি বলতে কি, এ আর রহমান ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছবি নির্মাণের সঙ্গে, ছবির সঙ্গে জড়িয়ে পড়বেন- এটা ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। ছবির প্রযোজনার সঙ্গে বেশ কয়েকজন যুক্ত আছেন। তাই এ বিষয়ে বাড়তি কোনো ভাবনা ছিল না। আমরা এ আর রহমানের কাছে গিয়েছিলাম এ ছবির সংগীত পরিচালনার প্রস্তাব নিয়ে। তার মতো বিশ্বনন্দিত সংগীত পরিচালক যদি এই ছবির সংগীতায়োজন করেন, তাহলে এতে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে। এই ভাবনা থেকেই তার কাছে যাওয়া। কিন্তু ছবির গল্প, নির্মাণ ভাবনা- সবকিছু শুনে নিজেই এই ছবির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

অনেকে বলেন, পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ছবির বেশির ভাগ দায়িত্ব নিজেই পালন করেন। যদি তাই হয়, তাহলে কি এটা বলা যায় যে প্রযোজকের দায়িত্ব পালন আপনার জন্য সহজ ছিল?
একদমই না। ছবির ইউনিটের সবাই জানে, প্রযোজক হিসেবে আমি কতটা পরিশ্রম করেছি। পরিশ্রম আর দায়িত্ব পালনে একবিন্দু ফাঁকি দিইনি- সেটা ফারুকী নিজেও স্বীকার করবেন। অন্তত আমার এটাই বিশ্বাস।

স্ত্রী প্রযোজক হওয়ায় পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বাড়তি কোনো সুবিধা পেয়েছেন কি?
পেশাদারি বিষয়ে আমি বা ফারুকী কেউ কাউকে ছাড় দিই না। ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছবির আগে ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ প্রযোজনা করেছি। স্ত্রীর প্রযোজনা হলেও পারিশ্রমিকে ছাড় দেননি ফারুকী। এ দুটি কাজেই নিজের প্রাপ্য বুঝে নিয়েছেন। আমিও তার পরিচালনায় যেসব নাটক, টেলিছবি, সিনেমায় অভিনয় করেছি, সেখানেও পেশাদারি মনোভাব ধরে রেখেছি।

ওয়েব ছবি ও সিনেমা প্রযোজনা করলেও অভিনয়ে দেখা যাচ্ছে না কেন?
প্রযোজনা আর অভিনয় একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না বলেই ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ ও ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এ অভিনয় করিনি। এর মধ্যে নাটক, টেলিছবিতে কাজ করিনি করোনার জন্য। সুত্রঃ সমকাল