কাবুল বিমানবন্দরে আজই আরেকটি হা’মলা?

| আপডেট :  ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক: কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আ’তঙ্ক। ডেডলাইন ৩১শে আগস্ট একেবারে কাছাকাছি। এ অবস্থায় সেখানে আরো হা’মলার সতর্কতা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রে’সিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, এই হা’মলা আজই দিনের শুরুর দিকে ঘটতে পারে। তাকে এ বি’ষয়ে জানিয়েছেন কমান্ডাররা। সুনির্দিষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য এমন হু’মকির প্রেক্ষিতে সব মা’র্কিন নাগরিককে ওই এলাকা ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ম’ন্ত্রণালয়।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ওই বিমানবন্দর থেকে উ’দ্ধার অ’ভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে কূটনীতিক, সে’না, কর্মকর্তাদের উ’দ্ধার অ’ভিযান চূড়ান্ত করেছে বৃটেন। বৃহস্পতিবার এই বিমানবন্দরে আত্মঘা’তী বো’মা হা’মলায় কমপক্ষে ১৭০ জন নি’হত হওয়ার পর আ’তঙ্ক চ’রম আকার ধারণ করছে। যেকোনো সময় আরো বড় হা’মলার আ’শঙ্কা বিরাজ করছে। বিশেষ করে ৩১শে আগস্ট ডেডলাইন যতই ঘনিয়ে আসছে, আ’তঙ্ক ততই বৃ’দ্ধি পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের হা’মলার দায় স্বীকার করেছে আইএসের স্থানীয় গ্রুপ ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্স (আইএস-কে)। এর প্র’তিশোধ নেয়ার হু’মকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রে’সিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার দিনশেষে পূর্বাঞ্চলে আইএস-কে’র হা’মলা পরিকল্পনাকারীকে ড্রো’ন হা’মলায় হ’’ত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরে জানানো হয়েছে, সেখানে আইএস-কে’র উচ্চ পর্যায়ের দু’নেতা মা’রা গেছেন। এর মধ্যে অন্যজনকে সুবিধাদানকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

তবে এখনও এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, কাবুল বিমানবন্দর হা’মলা পরিকল্পনার সঙ্গে তারা সরাসরি যুক্ত ছিলেন কিনা। শনিবার জো বাইডেন বিবৃতিতে বলেছেন, এই হা’মলাই শেষ হা’মলা নয়। যারাই বিমানবন্দরে হায়েনার মতো হা’মলা করেছে, তাদের সবার বি’রুদ্ধে অব্যাহতভাবে ব্যবস্থা নেবো আমরা এবং তাদেরকে মূল্য দিতে হবে। আফগানিস্তানে সবচেয়ে কট্টর এবং স’হিংস জিহাদি গ্রুপ হলো আইএস-কে।

তালেবানদের সঙ্গে তাদের রয়েছে বড় রকমের পার্থক্য। বর্তমানে আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করছে তালেবানরা। কিন্তু তালেবানদের বি’রুদ্ধে তাদের অ’ভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তালেবানরা যু’দ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করেছে। অন্যদিকে আইএস-কে’র বি’রুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রো’ন হা’মলার নি’ন্দা জানিয়েছে তালেবানরা। তারা বলেছে, প্রথমে এ বি’ষয়ে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা করা উচিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ওই বিমানবন্দর থেকে তাদের সে’নাদের প্রত্যাহার শুরু করেছে। বর্তমানে সেখানে তাদের সে’না সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার। গত সপ্তাহে এ সংখ্যা ছিল ৫৮০০। এখন উ’দ্ধার অ’ভিযান প্রায় শেষ পর্যায়ে। হাতে সময় মাত্র দু’দিন। এ সময়কে সবচেয়ে বি’পজ্জনক হিসেবে দেখা হচ্ছে। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে এখন এক হাজারের কিছু বেশি বেসা’মরিক মানুষ অপেক্ষা করছেন। তাদেরকে উ’দ্ধার করা হবে। এ অবস্থায় বিমানবন্দরের চারপাশে আরো চেকপয়েন্ট বসিয়েছে তালেবানরা। বার্তা সংস্থা এপি বলেছে, তারা এখন বেশির ভাগ আফগানকে এসব পোস্ট অতিক্রম করতে দিচ্ছে না।

ওদিকে সব মিলে গত দু’সপ্তাহে আফগানিস্তান থেকে আফগান ও বিদেশি মিলে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষকে উ’দ্ধার করা হয়েছে। শনিবার আফগানিস্তান থেকে সর্বশেষ ফ্লাইট অবতরণ করেছে ইতালির রাজধানী রোমে। তারা মোট ৫ হাজার আফগান নাগরিককে উ’দ্ধার করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। ফ্রান্স ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে কমপক্ষে ২৮০০ মানুষকে উ’দ্ধার করেছে। জার্মানি উ’দ্ধার করেছে প্রায় ৪ হাজার মানুষকে। বৃটিশ স’শস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যার নিক কার্টার বলেছেন, তারা কোনো আফগানকেই উ’দ্ধার করতে পারেননি বলে তার হৃদয় ভে’ঙে যাচ্ছে।

এখন আকাশপথে উ’দ্ধার অ’ভিযান ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় আফগানরা তাদের দেশের সঙ্গে প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর সী’মান্তে ভিড় করছেন। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সী’মান্তে জড়ো হয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর স্পাইন বোল্ডাক উন্মুক্ত রয়েছে। কিছু মানুষ সেখান দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন। তবে প্রধানতম ক্রসিং পয়েন্ট তোরখাম এখনও বন্ধ আছে।