মধ্যরাতে বান্দরবানে নোবেলের ‘বাদরামি’! পুলিশ ডাকলেন হোটেল মালিক

| আপডেট :  ২৭ আগস্ট ২০২১, ০৪:৫০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ আগস্ট ২০২১, ০৪:৫০ অপরাহ্ণ

বি’তর্কি’ত কর্মকাণ্ডই যেন তার নে’শা। পরিচিতি পাওয়ার পর যতটুকু সময় না ছিলেন ইতিবাচক আলোচনায় তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি নেতিবাচক। তার বি’রুদ্ধে যেন অ’ভিযোগের ‘স্তুপ’ সাজানো যাবে। বলছিলাম জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নিয়ে পরিচিতি পাওয়া বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেলের কথা।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা, সনামধন্য শিল্পীদের নিয়ে কটূক্তি, বিয়ে, সড়ক দু’র্ঘটনার নাটকসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনায় এই তরুণ শিল্পী। তবে বি’ষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। তবে ‘যেই লাউ সেই কদু’। বি’তর্কি’ত কর্মকাণ্ড ছাড়া থাকতে পারেন না তিনি। সম্প্রতি তার নে’শা জাতীয় দ্রব্য সেবনের মতো করে পোজ দিয়ে ছবি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে এসেছেন আলোচনায়।

বুধবার (২৫ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি প্রকাশ করেন নোবেল। এতে দেখা যাচ্ছে- দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের নাফাকুম জলপ্রপাতের পাশে এক নারীর সঙ্গে বসে দৃশ্যত কোনো এক ধরনের নে’শা গ্রহণ করছেন। তিনি ঠিক কী করছিলেন, সেটি একেবারে স্পষ্ট না হলেও গাঁ’জার কলকি টানছেন বলেই মনে করছেন অনেকেই। তবে, বি’ষয়টি নিয়ে বড্ড ক্ষেপেছেন তার স্ত্রী সালসাবিল। তিনি এ বি’ষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

জানা যায়, ২৫ আগস্ট (বুধবার) রাতে বান্দরবানে ঘুরতে যান। তার সঙ্গে একজন নারীকে দেখা গেছে। ওই নারীর সঙ্গে রুমা বাস স্টেশন এলাকার গার্ডেন সিটি নামের আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন নোবেল। হোটেলে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। পরদিন (২৬ আগস্ট) তারা বান্দারবানের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। এ সময় তাকে প্রকাশ্যে নে’শাজাতীয় দ্রব্য সেবন করতে দেখে স্থানীয়রা। এছাড়া এলাকাবাসীর সঙ্গে উদ্ভট আচারণ করতে থাকেন। এতে এলাকার মানুষ তার ও’পর ক্ষি’প্ত হয়ে ওঠে।

গার্ডেন সিটি হোটেল সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে আসে নোবেল। কিন্তু মধ্যরাতে হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে এসে ম’দ্যপ অবস্থায় চি’ৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। তাকে শান্ত করতে গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। হোটেলের অন্য এক অতিথি তাকে থামানোর চেষ্টা করলে নোবেল তাকে লা’ঞ্ছিত করেন।

রাত ৩টা নাগাদ গার্ডেন সিটি আবাসিক হোটেলের মালিক মো. জাফর বা’ধ্য হয়ে পুলিশকে বি’ষয়টি অবগত করেন। পুলিশ এসে নোবেলকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে নিজ থেকেই ভোরবেলা রুমে চলে যান নোবেল।

মো. জাফর জানান, একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে নোবেলের আচারণ খুবই অসভ্য। রুম ভাড়া নেওয়ার সময় তার সঙ্গে নারীকে স্ত্রী ও পরে বোন বলে পরিচয় দেন। নে’শা করে হোটেলে উদ্ভট সব কাণ্ড ঘটিয়েছে। এমনকি অন্য অতিথির গায়ে পর্যন্ত হাত তুলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশকে জানালে তারা এসে নোবেলকে শান্ত করতে পারেনি। পরবর্তীতে জে’লা প্রশাসনের নেজারত-ডেপুটি-কালেক্টর জাকির হোসাইনকে বি’ষয়টি অবহিত করি।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, নোবেলের বি’ষয়ে আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অ’ভিযোগ পেয়েছি। এরপর বি’ষয়টি ত’দন্ত করে দেখছি। বেআইনি কিছু করলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।