করোনা টিকা নিয়ে শতাধিক পোশাক শ্রমিক হাসপাতালে

| আপডেট :  ২৬ আগস্ট ২০২১, ১২:৫৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ আগস্ট ২০২১, ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

সারাদেশঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে মৌচাক নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী পোশাক কর্মী। তবে গাজীপুর সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বলেছেন, ‘এটা গুরুতর কিছু নয়। কিছু সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা।’

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে মৌচাক পপুলার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ফ্লোরে ২৫-৩০ জন পোশাক শ্রমিক অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন। তারা সবাই ‘মৌচাক নিট কম্পোজিট লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিক।

শ্রমিকরা জানান, সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সকাল ১০টার পরে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। টিকা নেওয়ার পরপরই শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। কেউ কেউ মাথা ঘুরে ফ্লোরে পড়ে যান। তাদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে শ্রমিকদের অসুস্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তারা জানান, কিছু অসুস্থ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মৌচাক নিট কম্পোজিটের শ্রমিক আকলিমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে তিন হাজারেরও বেশি শ্রমিক রয়েছেন। যারা আজ টিকা দিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে দিয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে ওই প্রতিষ্ঠানে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘সকালে আমাদের লোক ওই প্রতিষ্ঠানে সিনোফার্মার দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে যান। টিকা নেওয়ার পর কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমার কাছে থাকা তথ‌্য মতে ৫৪ জন শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’

টিকা দেওয়ার পর কারখানার শ্রমিকদের অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর রো‌বেদ আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মঞ্জুর এ বিষয়ে বলেন, ‘টিকার একটি সাইড ইফেক্ট আছে। একেক জনের ক্ষেত্রে সেটা একেক রকম হতে পারে। মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব, জ্বর আসা, শরীর ব্যথা হতে পারে। এমন কী, কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। তবে এটি সাময়িক উপসর্গ। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিলে বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে যাতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধও সেবন করা যেতে পারে।