স্বামীকে দইয়ে ঘুমের ট্যাবলেট দেন স্ত্রী, কো’পায় প্রেমিক

| আপডেট :  ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৩:৫১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৩:৫১ অপরাহ্ণ

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খু’ন। পিবিআইয়ের ত’দন্তে ঘা’তক স্ত্রী সুলতানা আক্তার কেমিলি (৩০) ও প্রেমিক রবিউল করিম পিন্টু (৩৫) আ’টক করা হয়েছে। কেমিলি ও তার প্রেমিককে গ্রে’প্তারের পর বের হয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্য তথ্য।

আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের পিবিআইয়ের ঢাকা জে’লা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ঢাকা জে’লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্ম’দ খোরশেদ আলম।

তিনি জানান, পরকীয়া প্রেমে বা’ধা দেওয়ার জেরে স্ত্রী সুলতানা আক্তার কেমিলি ও তার প্রেমিক রবিউল করিম পিন্টু মিলে স্বামী এলিম স’রকারকে হ’’ত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক ভাড়াটিয়া খু’নি দিয়ে হ’’ত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে চাইলেও ব্যর্থ হন কেমিলি ও পিন্টু। পরে পিন্টু নিজেই কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুযায়ী কেমিলি রাতেই স্বামীকে দইয়ের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে দেন। পরদিন সকালে কেমিলির পরামর্শে পিন্টু তার এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় ঢোকেন। নিস্তেজ পড়ে থাকা এলিমকে চাকু দিয়ে কু’পিয়ে হ’’ত্যা করেন। পরে বাসার সিসি ক্যামেরা ও ডিভিআর নিয়ে পালিয়ে যাযন পিন্টু ও তার বন্ধু।

তিনি জানান, এই ঘটনায় ভু’ক্তভোগী এলিমের বাবা ফজল হক স’রকার বা’দী হয়ে আশুলিয়া থানায় হ’’ত্যা মা’মলা করেন। থানা-পুলিশের পর ঘটনাটি নিয়ে ত’দন্ত শুরু করে পিবিআই ঢাকা জে’লার একটি টিম।

ত’দন্ত ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় আশুলিয়া জিরাবো জামগড়া এলাকা থেকে হ’’ত্যার পরিকল্পনাকারী ও নি’হতের স্ত্রী মোসা. সুলতানা আক্তার কেমিলি (৩০) ও তার প’রকীয়া প্রেমিক মো. রবিউল করিম পিন্টুকে (৩৫) গ্রে’প্তার করে ঢাকা জে’লা পিবিআই।

এসপি বলেন, গত ২৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষে এলিম স’রকার স্ত্রী স’ন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ২৮ মার্চ সকাল ৮টার দিকে কেমিলি ঘুম থেকে উঠে জরুরি প্রয়োজনে তার শ্বশুর ফজল হক স’রকারের বাড়িতে যান। বাড়ির অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে বাসায় ফেরেন কেমিলি। বাসায় ঢুকেই স্বামী এলিম স’রকারের গ’লার নিচে একটি, পেটে ১১টি ও পিঠে ধা’রালো অ’স্ত্রের একটি আ’ঘাত দেখতে পান বলে প্রথমে জানান। এ বি’ষয়ে আশুলিয়া থানায় হ’’ত্যা মা’মলা পর পুলিশের পাশাপাশি পিবিআইও ঘটনা ত’দন্ত করছিল।

তিনি বলেন, আ’সামিরা জি’জ্ঞাসাবাদে জানান, রবিউল করিম পিন্টু আশুলিয়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে লাইনম্যান হিসেবে চাকরি করেন। এলিম স’রকারের বাসায় বিদ্যুতের মিটার লাগানোর কাজ করতে গিয়ে কেমিলির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য ক’লহের সৃষ্টি হয়। এতেই বিপত্তি ঘটে। প’রকীয়া প্রেমে বা’ধা দেওয়ার জেরেই এলিম স’রকারকে পরিকল্পিতভাবে হ’’ত্যা করেন কেমিলি ও তার প্রেমিক পিন্টু।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জ’ড়িত পিন্টুর এক বন্ধু প’লাতক রয়েছেন। তাকে গ্রে’প্তারে অ’ভিযান চলছে। ত’দন্তের স্বার্থে তার নাম এখনই বলা যাচ্ছে না।