পরীমনির মতো কুমারী মেয়েকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে

| আপডেট :  ২৩ আগস্ট ২০২১, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ আগস্ট ২০২১, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ

পরীমনির প্রতি অ’বিচার করা হচ্ছে। তার সম্মান ও মান’বিক মর্যাদাই শুধু ক্ষু’ণ্ন করা হয়নি, অপ’রাধ প্রমাণের আগেই তাকে অপ’রাধী বানানো হচ্ছে বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। নারী ও কন্যা নি’র্যাত’ন সামাজিক অ’না’চার প্রতি’রোধ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, অর্থনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

পরীমনি আ’ত্ম’হ’ত্যা’সহ সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পক্ষপা’তদু’ষ্ট ভূমিকা পালন করেছে বলেও তী’ব্র নি’ন্দা জানান তারা। অ’বিলম্বে এসব অনা’চার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান তাদের। সামাজিক অ’নাচার কমিটির পক্ষে বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। দুয়েকদিনের মধ্যে পরীমনিসহ অন্যান্য নারীর প্রতি বি’চারহীন’তার চর্চা রোধে বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষরসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে বলে আলোচনা সভায় জানানো হয়।

পরীমনিকে জা’মিন না দিয়ে এবং তার বি’রু’দ্ধে মি’ডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে অ’পপ্র’চার করা হচ্ছে এতে তার মান’বাধিকার লঙ্ঘ’ন হচ্ছে বলেও নি’ন্দা জানান তারা। এক্ষেত্রে বিচারের আগে অপ’রা’ধী সাব্যস্ত না করা এবং শব্দ প্রয়োগে মিডিয়াকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। সামাজিক অনাচার ও প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারপারসন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যরিস্টার এম আমিরুল ইসলাম পরীমনিসহ নি’র্যা’তি’ত নারীদের সহায়তার জন্য মহিলা পরিষদকে লিগ্যাল এইড কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যে সমাজে নারীর মর্যাদা বা সম্মান নেই সে সমাজে সামাজিক বি’চার সম্ভব না। পরীমনির মতো কুমারী মেয়েকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।’ তাকে জা’মিন না দেওয়ার স’মা’লোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের সমাজে নারীদের ওপর যে অ’ত্যাচা’র ও অ’নাচা’র এবং সুশাসনের ক্ষেত্রে তাদের অ’বস্থান বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে তারা সঠিক বিচার বা সামাজিক সুবি’চার পাচ্ছে না।

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্থান পাওয়া যে তিনটি মূল’নীতির ভিত্তিতে সংবিধান রচিত হয়েছে; সেই তিনটি মূলনীতি সমতা, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যয়বি’চার এই তিনটি মূল্য’বোধ কতখানি প্রতিফলিত হচ্ছে বা কতখানি নির্বাসি’ত হচ্ছে সেটা যদি প্রত্যেকটা সময় যাচাই-বাছাই করে দেখি এবং এই ঘটনা বি’শ্লেষণ করার ক্ষেত্রেও এই মান দিয়ে বি’চার করে

দেখি তাহলে দেখা যাবে এখানে সাম্য নাই, মানবিক মর্যাদা বা ন্যায়বিচার নাই। যে কোনো কাজে-কর্মে, সমাজে, উৎ’পীড়’নে, অধিকার নিশ্চিতে ক্ষম’তাধর প্রতিষ্ঠান যদি সেটাকে ধ্বং’স করে তাহলে বুঝতে হবে আমাদের বাংলাদেশকে খাটো করা হচ্ছে।