সুভাষের বি”কৃত যৌ’নাচার থেকে রে’হাই পায়নি পুত্রবধূ, ভাগ্নীসহ নারী প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন

| আপডেট :  ২২ আগস্ট ২০২১, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ আগস্ট ২০২১, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানা পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস নি’র্মম হ’’ত্যা কান্ডের হ’’ত্যা র’হস্য উদঘাটন পূর্বক হ’’ত্যাকারীদের গ্রে’ফতার করে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। খু’ন হওয়া সুভাষের বাড়ি জে’লার ধর্মপাশা উপজে’লার মধ্যনগর ইউনিয়নের ফারুকনগর গ্রামের উত্তরপাড়ায়। গত বুধবার(১৮ই আগষ্ট) দিবাগত

রাত আড়াইটার দিকে সুভাষের বাড়ির পূর্বপাশে মনাই নদী থেকে সুভাষের ম’রদেহ উ’দ্ধার করে মধ্যনগর থানা পুলিশ। শনিবার(২১শে আগষ্ট) দুপুরে মধ্যনগর থানা পুলিশ এ হ’’ত্যা র’হস্য প্রকাশ করে। জানাযায়,ষাটোর্ধ সুভাষ চন্দ্র স’রকার প্রায় রাতেই বাড়ির সামনে নদীর ঘাটে তাদের নৌকায় ঘুমায়। কিন্তু হঠাৎ এক রাতে তাকে নৌকায় পাওয়া যাচ্ছিল না।

সুভাষ স’রকারের ছেলে সুজিত চন্দ্র স’রকার (৩২) প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজতে বের হয় তার বাবাকে। নৌকার অদূরে নদীর পানিতে গ’লায় ও পায়ে রশি বাঁ’ধা অবস্থায় পাওয়া যায় সুভাষের ম’রদেহ। বাবার এমন ভ’য়নাক পরিণতিতে সুজিতের কা’ন্না ও চি’ৎকার শুনে ছুটে আসে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ স্থানীয়রা। সুজিত সাথে পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুভাষের ম’রদেহ উ’দ্ধার করে। পরদিন সুভাষের মেয়ে নীভা রানী তালুকদার স্থানীয় থানায় মা’মলা করেন। জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য সুজিতসহ সুজিতের মা আরতী রানী স’রকার ও খেলা রানী স’রকারকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ সুভাষকে হ’’ত্যার দায় স্বীকার করে। পরে তারা আ’দালতে স্বী’কারোক্তিমূলক জবানব’ন্দী দেয়। আর এতেই বেরিয়ে আসে হ’’ত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য।

যে কারণে হ’’ত্যার পরিকল্পনা-
মধ্যনগর থানার ওসি নির্মল দেবের ভাষ্যমতে, বি”কৃত মা’নসিকতার অধিকারী ও নারী লোভী ব্যক্তি সুভাষ শা’রীরিকভাবে ছিল শক্তপোক্ত। সুযোগ পেলেই সে যে কোনো না’রীকে যৌ’ন হ’য়রানী থেকে শুরু করে ধ”ণ করতো। যা তার পুত্রবধূ তাদের জানিয়েছে। সুভাষের বি”কৃত যৌ’নাচার থেকে রে’হাই পায়নি পুত্রবধূ, ভাগ্নীসহ কোনো কোনো নারী প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন। বি’ষয়টি নিয়ে সুভাষের পরিবারের লোকজন অ’তিষ্ট হয়ে উঠেছিল। এ নিয়ে পরিবারের ঝ’গড়া ঝাটিও হয়েছে বেশ। দিনদিন সুভাষের বি”কৃত আচরণ বেড়েই চলেছিল।

পরিবারের লোকজন চেষ্টা করেও কোনো তাকে এ কাজ থেকে ফেরাতে পারেনি। ফলে তারা এসব নীরবে সহ্য করে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় তারা কি করবে ভেবে উঠতে পারছিল না। লোকলজ্জার ভ’য়ে কাউকে কিছু বলতেও পারছিল না তারা। ফলে সুভাষের স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ এ হ’’ত্যাকা-ের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

যখন পরিকল্পনা ও হ’’ত্যা করা হয়-
সুভাষ বাড়ির পূর্বপাশে নদীর ঘাটে প্রায় রাতেই নৌকায় ঘুমায়। ১৮ আগস্ট অর্থ্যাৎ গত বুধবার সন্ধ্যায় সুভাষের স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ সুভাষকে হ’’ত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। হ’’ত্যার উপকরণ হিসেবে নিজেদের গোয়াল ঘর থেকে সংগ্রহ করা হয় রশি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পরিকল্পনাকারীরা সেই রশি দিয়ে সুভাষের পা বাঁধে এবং গ’লায় রশি পেঁ’চিয়ে শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যা করে।

পরে লা’শ নদীতে ফে’লে দেওয়া হয়। যাতে কেউ স’ন্দেহ না করে সেজন্য সুভাষের ছেলে প্রতিবেশীদের জানায়, তার বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। সুজিত প্রতিবেশীদের নিয়ে তার বাবাকে খোঁজতে থাকে। খোঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে নৌকার খানিক দূরে নদী থেকে সুভাষের ম’রদেহ পাওয়া গেলে সুজিত মায়া কা’ন্না শুরু করে এবং রাত দেড়টার দিকে পুলিশে খবর দেয়।

মধ্যনগর পুলিশের তৎপরতা-
মধ্যনগর থানার ওসি নির্মল দেব খবর পাওয়া মাত্রই ফোর্স নিয়ে সেখানে গিয়ে রাত আড়াইটার ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র স’রকারের উপস্থিতিতে সুভাষের ম’রদেহ উ’দ্ধার করা করে। পুলিশ তখন থেকেই সুভাষের পরিবারের লোকজন, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের পর্যায়ক্রমে পৃথকভাবে জি’জ্ঞাসাবাদ করতে থাকে।

এদিকে ম’রদেহ ম’য়নাত’দন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলেও পুলিশ কৌশলে তার ত’দন্ত ও জি’জ্ঞাসাবাদ চা’লিয়ে যেতে থাকে। পরদিন সুভাষের স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ পুলিশের কাছে হ’’ত্যার স্বীকার করলে তাদের আ’টক করে আ’দালতে পাঠানো হয়। গত শুক্রবার সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট আ’দালতে হ’’ত্যাকারীরা স্বী’কারোক্তিমূলক জবানব’ন্দী দিয়েছে।

মধ্যনগর থানার ওসি নির্মল দেব বলেন, ‘ঘটনার পরদিন সুভাষের মেয়ে নীভা রানী তালুকদার বা’দী হয়ে মধ্যনগর থানায় অ’জ্ঞাতনামা আ’সামি করে মা’মলা করেছিল। কিন্তু আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হ’’ত্যাকান্ডের র’হস্য উদঘাটন করতে পেরেছি।

পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ‘হ’’ত্যাকান্ডের সাথে জ’ড়িতরা হ’’ত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে হ’’ত্যা মা’মলা রুজু করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।