সব
আফগানিস্তানে ভারতীয় দূ’তাবাসে তা’লেবান তল্লা’শি চা’লিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম। আবার কিছু গণমাধ্যম আরো আগ বাড়িয়ে হা’মলা করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে। কিন্তু সেখানকার দূ’তাবাস কর্মকর্তারা বলছেন ভিন্ন কথা।
এনডিটিভি’র খবরে প্রকাশ, কান্দাহারে বন্ধ থাকা ভারতীয় কনস্যুলেটে তল্লা’শি চা’লিয়েছে তা’লেবান সদস্যরা। তারা সেখানে পার্ক করে রাখা গাড়িগুলো নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় স’রকার। ঘটনাটি বুধবার ঘটলেও শুক্রবার তা প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারত স’রকারের একটি সূত্র জানায়, তা’লেবান সদস্যরা বুধবার কান্দাহার ও হেরাতে ভারতীয় কনস্যুলেটে তল্লা’শি চা’লায়। তারা সেখানে কাগজপত্রের খোঁজ করে। তারা উভ’য় কনস্যুলেটের গাড়িগুলো নিয়ে যায়।এক সিনিয়র কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এমন হবে বলে আমরা ধরে নিয়েছিলাম। তারা নথিপত্রের সন্ধানে সেখানে তন্ন তন্ন করে খোঁজ করে।
অপরদিকে একটি সংবাদসংস্থা সূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, এক দিন আগেই বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিল তালেবান। কাবুলে দূ’তাবাস খালি করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু রাত গড়াতেই ভারতকে নিয়ে তা’লেবানের অবস্থানে ধন্দ দেখা দিয়েছে। কারণ শুক্রবার আফগানিস্তানের হেরাত, মাজার-ই-শরিফ এবং কান্দাহারে ভারতীয় কনস্যুলেটে তা’লেবানি হা’মলার খবর মিলেছে। সেখানে ভারতীয় দূ’তাবাসের কর্মীরা যদিও অ’ভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু দিল্লি সূত্রে খবর, কমপক্ষে দু’টি ভারতীয় কনস্যুলেটে হা’মলা হয়েছে।
আফগানিস্তান নিয়ে কেন্দ্রীয় স’রকারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাতে বলা হয়েছে, কান্দাহার এবং হেরাতে ভারতীয় কনস্যুলেট লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে তা’লেবান। কান্দাহারের কনস্যুলেটে তালা ভেঙ্গে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি লুঠ করেছে তারা। দু’টি কনস্যুলেট থেকেই গাড়ি লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে তারা।
কিন্তু দিল্লির ওই সূত্র এবং কাবুলে ভারতীয় দূ’তাবাসে কর্মরত স্থানীয় কর্মীদের মন্তব্যে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। কারণ কাবুল দূ’তাবাসের কর্মীরা জানিয়েছেন, এ রকম কিছু ঘটেইনি। আফগানিস্তানে মোট চারটি দূ’তাবাস রয়েছে ভারতের। এগুলোর অবস্থান কাবুল, হেরাত, কান্দাহার এবং মাজার-ই-শরিফে। কিন্তু চারটির কোনোটিতেই তালেবানের প্রবেশের কোনো খবর নেই বলে দাবি করেছেন কাবুল দূ’তাবাসের ওই কর্মীরা।
যদিও চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দু’-দু’টি বিমান পাঠিয়ে কাবুল থেকে দূ’তাবাসের কর্মীদের সরিয়ে আনে দিল্লি। তবে দিল্লি সূত্রে খবর, এখনো আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আ’টকে রয়েছে এক হাজারের বেশি ভারতীয়। তাই ভারতীয় দূ’তাবাসে তা’লেবান হা’মলার খবর আসতেই উ’দ্বেগ দেখা দেয়। কিন্তু দূ’তাবাস কর্মীরা অন্য কথা বলায়, ধন্দ দেখা দিয়েছে। সূত্রঃ নয়া দিগন্ত