খাবার না দেওয়ায় না’রীকে একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে পি’ টিয়ে হ’ ত্যা

| আপডেট :  ১৮ আগস্ট ২০২১, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৮ আগস্ট ২০২১, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন মা নাজিয়া। নিভৃত পল্লীতে তাঁদের বসবাস। তালেবান যো’দ্ধারা ওই বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছে। এমন ঘটনা ঘটেছে তিন দিন। চতুর্থ দিনও যে তালেবান যো’দ্ধারা আসবে তা ধরেই নিয়েছিলেন নাজিয়ার ২৫ বছর বয়সী মেয়ে মানিজহা। শুনতে হবে একই বায়না—১৫ যো’দ্ধার জন্য রাঁধতে হবে খাবার।

মানিজহা বলছিলেন, ‘আমার মা ওদের বলেছিলেন, আমি গরিব মানুষ, আমি কিভাবে আপনাদের খাবারের ব্যবস্থা করব? এ কথা শুনেই ওরা মাকে মা’রতে শুরু করে। পড়ে যান আমার মা। তখন ওরা একে-৪৭ দিয়ে আ’ঘাত করে।’
মানিজহার কথায়, ‘আমি ওদের বা’ধা দেওয়ার চেষ্টা করে কুলিয়ে উঠতে পারিনি। ওরা আমাদের আরেক ঘরে গ্রে’নেড ছো’ড়ে, পু’ড়ে যায় সব কিছু। পু’ড়ে যান মা-ও।’

গত ১২ জুলাই আফগানিস্তানের ফারিয়ব প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। সিএনএন নিরাপত্তার খাতিরে ভু’ক্তভোগীদের ছদ্মনাম ব্যবহার করেছে। বার্তা সংস্থাটি বলছে, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তালেবানের প্রত্যাবর্তনের পর আফগান নারীদের করুণ পরিণতির চিত্র উঠে এসেছে।

কয়েকজন নারী বলেন, তালেবানের জারি করা নিয়ম অনুযায়ী তাদের এখনও বোরকা কেনা হয়নি। কারণ তালেবান আরো নিয়ম জারি করেছে যেখানে একজন নারী একা বাইরে বের হতে পারবে না। তার সঙ্গে এ সময় অবশ্যই একজন পুরুষ থাকতে হবে। কিন্তু ভ’য়ে পুরুষরাও এখন বাইরে বের হতে চাইছে না।

গত ২০ বছর ধরে নারীরা সেখানে অবাধে চলাফেরা করেছে। এ সময় তারা বোরকা ব্যবহার করত না। তাদের বাইরে কাজ করার অধিকার ছিল, পড়ালেখা করার অধিকার ছিল। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তারা অবাধে চলাফেরা করত। তবে সে সময় আর ফিরে আসবে না ভেবেই আ’তঙ্কিত হয়ে পড়েছে নারীরা।

তবে তালেবানের এক মুখপাত্র সুহেইল শাহিনের দাবি, ‘আমরা নারী অধিকারে সম্মান করি। আমাদের নীতি হচ্ছে, হিজাব পরে নারীরা পড়াশোনা ও কর্মক্ষেত্রে যেতে পারবে। গণমাধ্যমও সমালোচনা করতে পারবে; কিন্তু চরিত্র হনন করতে পারবে না। আইন অমান্যকারীদের সাজার ধরন নির্ধারণ করবেন আ’দালত। পরিবর্তিত নিয়ম-কানুনে সম্মত না হলে বিদেশিরা দেশ ছাড়তে পারবে।’

তালেবান বলছে, প্রকৃত ইসলাম সমর্থন করে এমন আফগানি ঐতিহ্য তারা ধারণ করতে চায়। কিন্তু আগের শাসনের সঙ্গে ‘প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থার’ কী পার্থক্য হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

সূত্র : সিএনএন।