স্বামীকে হ’ত্যার পর লা’শ পুঁতে সেখানে বসেই আড়াই মাস রান্না করেন স্ত্রী

| আপডেট :  ১৬ জুলাই ২০২১, ০৪:২৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ জুলাই ২০২১, ০৪:২৭ অপরাহ্ণ

প’রকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় প্রথমে স্বামীকে হ’’ত্যা করেন। এরপর লা’শ চা’পা দেন রান্নাঘরের মাটির নিচে। স্বামীকে চা’পা দেওয়া মাটির ও’পরই রয়েছে চুলা। সেখানে বসেই সব ধরনের রান্নাবান্না করতেন স্ত্রী। তাও আবার আড়াই মাস ধরে। শেষমেশ পুলিশের জালে আ’টকা পড়লেন পা’ষ’ণ্ড স্ত্রী। সঙ্গে ধরা পড়েন তার সহযোগীও।

ঘটনাটি মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার রমজানবেগ এলাকার। নি’খোঁজের প্রায় আড়াই মাস পর ৫০ বছর বয়সী আরাফাত মোল্লার মাটিচা’পা লা’শ উ’দ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে নিজ বাড়ির রান্নাঘরের মাটির নিচ থেকে লা’শটি উ’দ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নি’হতের স্ত্রী আকলিমা বেগম ও তার সহযোগী মো. রিয়াজকে আ’টক করা হয়েছে। নি’হত আরাফাত মোল্লা রমজানবেগ এলাকার দুখু মাদবরের ছেলে। তিনি শহর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, রান্নাঘরের মাটির নিচে স্বামীর লা’শ চা’পা দিয়ে চুলায় প্রতিদিন সংসারের সব রান্না করতেন আকলিমা। স্বামী নি’খোঁজের অ’ভিযোগ এনে নিজেই থানায় জি’ডি করেন। পরবর্তীতে মা’মলাও করেন স্ত্রী। এরপর আরাফাত মোল্লার খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। তবে আকলিমাকে নিয়ে স’ন্দেহ ছিল তাদের।

আকলিমার পেছনে একজন সোর্সও লাগান মা’মলার ত’দন্তে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা। একপর্যায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই সোর্সের সঙ্গে কথা বলেন আকলিমা। হঠাৎ নিজের অজান্তেই স্বামীকে হ’’ত্যার কথা বলে ফে’লেন। আকলিমার সঙ্গে কথা বলার দৃশ্য গো’পনে মুঠোফোনে ধারণ করেন পুলিশের ওই সোর্স। পরে ভিডিওর ভিত্তিতে একইদিন বিকেল ৫টার দিকে আকলিমাকে আ’টক করে পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে নিজ বাড়ির রান্নাঘরের মাটির নিচে থেকে আরাফাত মোল্লার লা’শ উ’দ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে আকলিমা জানান, রিয়াজের সঙ্গে তার প্রেম চলছিল। বি’ষয়টি তার স্বামী জানতে পারেন। পথের কাঁটা সরাতে স্বামীকে হ’’ত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী আরাফাত মোল্লাকে ঘুমের ও’ষুধ খাওয়ান। এরপর ধা’রালো অ’স্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীকে হ’’ত্যা করেন। পরে লা’শ গু’ম করতে রান্নাঘরের মাটির নিচে চা’পা দেন। এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করেন রিয়াজ।

এডিশনাল এসপি (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল-ইসলাম জানান, ২ মে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্বামী আরাফাত মোল্লা নি’খোঁজ হন মর্মে পরদিন সদর থানায় জি’ডি করেন আকলিমা। এরপর তাকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। পরবর্তীতে ৩০ মে দ্বিতীয় দফায় মা’মলা করেন আকলিমা। মা’মলাটি পুলিশ বিভিন্নভাবে ত’দন্ত করতে থাকে। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন নি’হতের স্ত্রী নিজেই।