ফরেনসিক প্রতিবেদনে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, চার সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন মুনিয়া

| আপডেট :  ৯ জুলাই ২০২১, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ জুলাই ২০২১, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে মোসারাত জাহান মুনিয়ার (২১) র’হ’স্যজনক মৃ ’ত্যুর ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষায় মিলেছে চা’ঞ্চল্যকর তথ্য। ফরেনসিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, মুনিয়া তিন-থেকে চার সপ্তাহের অ’ন্তঃসত্ত্বা (গর্ভবতী) ছিলেন।কিছুদিন আগে ওই ডিএনএ প্রতিবেদন গুলশান থানায় আসে। হাসপাতাল ও পুলিশের একটি সূত্রে ডেইলি বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত মার্চ মাস থেকে মা ‘রা যাওয়ার আগ পর্যন্ত গুলশানের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন মুনিয়া। সেখানে তার প্রেমিক বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর যাতায়াত করতেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

স্বজনরাও জানিয়েছেন, বিয়ের প্র’লোভন দেখিয়েই মুনিয়াকে লাখ টাকার ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন আনভীর। দীর্ঘদিন ওই ত’রুণীকে ভো’গ করার পর দূরে সরে যেতে টাকা চু’রি ও আ’ত্মহ’ ‘ত্যার নাটক সাজায় প্র’তারক প্রেমিক বসুন্ধরা এমডি। তবে ডাক্তারি পরীক্ষায় মুনিয়ার অ’ন্তঃস’ত্ত্বা থাকার বি’ষয়টি উঠে আসার তথ্য সত্য কি-না, এ বি’ষয়ে ত’দন্ত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে গুলশান থানার ওসি মো. আবুল হাসান বলেন, এমন কিছু তিনি এখনো পাননি। ডিএনএ রিপোর্টও আসেনি। তবে ম’য়নাত’দন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে মুনিয়ার অ’ন্তঃসত্ত্বা থাকার বি’ষয়টি ধারণা করেছেন চি’কিৎসকরা। চূড়ান্ত ফরেনসিক প্রতিবেদনে সব বি’ষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও পুলিশের অপর একটি সূত্র জানায়, গত ২৬ এপ্রিল কলেজছাত্রী মুনিয়ার র’হ’স্যজ’নক মৃ’ ত্যুর পরের দিন প্রকৃত কারণ জানতে ম’য়নাত’দন্তের পাশাপাশি ডিএনএ ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নমুনা পাঠায় গুলশান থানা-পুলিশ। মে মাসের প্রথম দিকে ম’য়নাত’দন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন ও গেল জুন মাসের মধ্যভাগে ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন থানায় পাঠায় ঢামেকের ফ’রেনসিক মেডিসিন বিভাগ।

সূত্র জানায়, ওই প্রতিবেদনে ত’রুণী মুনিয়া মৃ’ ত্যুর আগে তিন থেকে চার সপ্তাহের অ’ন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়। বি’ষয়টি ধা’মাচা’পা দিতে জো’র লবিং চা’লা’য় আ’সা’মিপক্ষ। বসুন্ধরা এমডি আনভীরের প্রেমিকা মুনিয়ার অ’ন্তঃস’ত্ত্বা থাকার বি’ষয়টি সংশ্লিষ্ট চি’কিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তারা ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন মা’ম’লার বা’দী নুসরাত জাহান তানিয়া ও তার স্বামী মিজানুর রহমান সানি।

মুনিয়ার বড় বোন ও ভগ্নিপতির অ’ভিযোগ, মুনিয়াকে হ’ ‘ত্যা ও অ’ ন্তঃস’ত্ত্বা থাকাসহ পুরো বি’ষয়গুলো ধা’ মাচা’পা দিতে সব ধরনের অ’পচেষ্টা’য় লি’প্ত মূল আ’সা’মি বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীর।

এক প্রশ্নের জবাবে মুনিয়ার বোন নুসরাত ও মিজান দাবি করেন, মার্চ মাসের শুরু থেকে এপ্রিলের ২৬ তারিখ পর্যন্ত মুনিয়া ফ্ল্যাটে একা থাকাকালে সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ও স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতেন প্রেমিক আনভীর। ফলে তার দ্বারা মুনিয়া অ’ন্তঃস’ত্ত্বা হওয়াটাই স্বাভাবিক।

ধারণা করছি, এমন নানা কারণে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে রাজি না থাকায় মুনিয়াকে মুত্যুর দিকে ঠেলে দেয় আনভীর। পরবর্তীতে হ’ ‘ত্যার পর আত্মহ’’ত্যার নাটক সাজানো হয়। এতে আনভীরের পরিবারের লোকজনও জ’ড়িত থাকতে পারে।

গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার তৃতীয় তলার একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ম’ রদে’হ উ’দ্ধার করে পুলিশ। প্রতিমাসে এক লাখ ১০ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে মুনিয়াকে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন আনভীর। এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। প’রকী’য়া ও হ’ ‘ত্যাকা’ণ্ডের অ’ভিযো’গে আনভীরকে বি’চারের মুখোমুখি করার দা’বি বিভিন্ন মহল থেকে ওঠে। সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ