প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় গিয়ে জড়িয়ে পরেন ব্যবসায়! প্রতিদিন আয় ১ লাখ টাকা

| আপডেট :  ৪ জুলাই ২০২১, ০২:১৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ জুলাই ২০২১, ০২:১৫ অপরাহ্ণ

বাবা-মায়ের এ’কমাত্র সন্তান সানা বিনতে রহমান। তিনি বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় জ’ন্মগ্রহণ করেন। তার বেড়ে ওঠা এখানেই। বিক্রমপুরের মালয়েশিয়া প্র’বাসী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন নিপুর সঙ্গে ২০০৫ সালে সা’নার বিয়ে হয়।

এরপর তিনি প্রবাসী ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে চলে আ’সেন মালয়েশিয়ায়।সানা সেখানে ইউনি’ভা’র্সিটি টেকনোলজি অব মালয়েশিয়া (ইউটিএম) থেকে ২০১১ সালে ফ্যাশন ডিজা’ইনিংয়ের উপর তিন বছর মেয়াদী (বিএসসি) ডি’প্লোমা শেষ করেন।

এরপর ২০১৪ সালে বোটানিক্যাল অর্গানিক স্কিন কেয়ার কনসা’লটেন্সির উপর দু’বছর মেয়াদী আরও একটি ডিপ্লোমা করেন।সানা ১৪ বছর ধরে মাল’য়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে থাকেন। স্বামী-সন্তান সামলিয়ে তিনি মালয়েশিয়াতেই ব্যবসা শুরু করেন এবং সাফল্যের দেখা পান।

সানা বিনতে রহমান এক বছর ধরে ভেষজ উপাদান দিয়ে নিজেই ত্ব’কের জন্য তৈরি করছেন স্কিনের জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট। তার তৈরিকৃত প্রো’ডাক্টগুলো- হারবাল উপটান, বডি স্ক্রাব, বডি মাস্ক, হেয়ার ওয়েল এবং ফেস প্যাক মাস্ক।

যেগুলো তিনি মা’লয়েশিয়াতে তার ফেসবুক পেজ ‘সানা বিউটি’তে অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করেন। সানা বলেন, ‘আমি নি’জেই বিভিন্ন ভেষজ উপাদান দিয়ে এই স্কিন কেয়ার প্রো’ডাক্টগুলো তৈরি করে থাকি।

এগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আমা’র তৈরি স্কিনের প্রো’ডাক্টগুলো ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়াতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জা’য়গা থেকে অর্ডার পাই। এছাড়াও আমি আমা’র ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অ’নেককেই স্কিন অ্যাডভাইস দিয়ে থাকি।

আমি চাই, আমা’র প্রোডাক্টগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিতে, আমি এখন সেই ল’ক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’ ‘শখের বসে আমি প্রথমে এই ব্যবসাটা করি। চিন্তা ক’রছি প্রবাসে ঘরে বসে সময়টা যাচ্ছে না।

যেহেতু এই কাজটি জানি, তাই ক’রোনাকালীন সময়ে ‘সানা বিউটি’ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলি। প্রো’ডাক্টগুলোর গুণাগুণ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকি।

অনেক প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমা’র তৈরি প্রো’ডাক্টগুলো ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন’, বলেন সানা। তিনি আরও বলেন, ‘প্র’বাসীদের অনুপ্রেরণায় আমা’র কাজে আরও উৎসাহ পেলাম।প্রতিটি মানুষ চায় ভালো থাকুক,

সুস্থ থাকুক, নিজের রূপ সৌন্দর্য ধরে রাখুক। প্রবাসীদের ভা’লোবাসায় আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমি মনে করি, প্রবাসে প্র’তিটি নারী ঘরে বসে না থেকে কিছু একটা করুক। প্রবাসীরা ভালো থাকুক সব সময় এটাই প্র’ত্যাশা করি।’