১০ বছর আগে শিক্ষক থাকাকালে বড়বোনকে ধ’ র্ষ’ণ করে খু ন, চেয়ারম্যান হয়ে ছোটকে ধ’ র্ষ’ণ

| আপডেট :  ২৬ জুন ২০২১, ০৬:০৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ জুন ২০২১, ০৫:৫৬ অপরাহ্ণ

পাবনায় বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ধ”ণের অ’ভিযোগ উঠেছে। অ’ভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আবু হামিদ মোহাইম্মী হোসেন চঞ্চল। তিনি পাবনার আটঘরিয়া উপজে’লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

১০ বছর আগে চেয়ারম্যান চঞ্চল একটি হাইস্কুলের শিক্ষক থাকাকালীন ওই ছা’ত্রীর সঙ্গে প্রে’মের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে একটি বাসায় নিয়ে তাকে ধ”ণ করেন। এরপর অ’সুস্থ হয়ে ওইদিনই হাসপাতালে মা’রা যান ওই ছা’ত্রী। সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া ডায়েরিতে এসবের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রীর বোন।

এ ঘটনায় বোনকে ধ”ণ এবং হ’ ‘ত্যার জন্য চেয়ারম্যানকে দায়ী করে বিচার চেয়ে গত ২১ জুন পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেছেন ওই ছাত্রী। এমনকি একই কৌশলে চেয়ারম্যান তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ধ”ণ এবং ব্ল্যা’কমেইল করে একাধিকবার শা’রীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বলে অ’ভিযোগ তার।

ওই ছাত্রীর অ’ভিযোগ, ২০১০ সালে আবু হামিদ মোহাইম্মী হোসেন চঞ্চল দেবোত্তর ইউনিয়নের ইশারত আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন তার বড়বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বলে পাবনা শহরে নিয়ে গিয়ে অ’জ্ঞাত এক বাড়িতে তাকে ধ”ণ করেন। সেদিন বাড়ি ফেরার পথে অ’সুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।

শো’কাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার নামে চঞ্চল ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন। তাদের পরিবারের একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর মতো আচরণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

লিখিত অ’ভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি তার বড়বোনের মতো তাকেও একই কৌশলে পাবনা শহরে একটি বাসায় নিয়ে ধ”ণ করেন এবং মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে ভিডিও প্রকাশের ভ’য় দেখিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শা’রীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন চেয়ারম্যান চঞ্চল। ভু’ক্তভো’গী ছা’ত্রী বিয়ের জন্য চা’প দিলে চেয়ারম্যান ক্ষু’ব্ধ হয়ে নানাভাবে হু’মকি দিতে থাকেন।

এদিকে চেয়ারম্যান চঞ্চল বিয়ে না করেই তাকে ডি’ভোর্স লেটার পাঠিয়ে ঘটনা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে ওই ছাত্রী অ’ভিযোগ করেন। বি’ষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে তাকে ও তার পরিবারকে চেয়ারম্যান ভ’য়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে ছাত্রীর বাবা অ’ভিযোগ করেছেন।

তিনি জানান, চেয়ারম্যান তাকে মা’দক মা’মলায় ফাঁ’সিয়ে দেবেন বলে হু’মকি দিয়েছেন। তাকে টাকা-পয়সা দিয়ে বি’ষয়টি মীমাংসা করার জন্য চা’প দেয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি ধ”ণের শি’কার ছাত্রীর বোনের একটি ডায়েরি খুঁজে পায় তার পরিবার। ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি তারিখে নি’হত ছাত্রীর ডায়েরিতে চেয়ারম্যান চঞ্চল লিখেছেন, ‘(ছাত্রীর নাম) তুমি সুখে আছো, কিন্তু আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন চোখের পানি অসহ্য য’ন্ত্রণা তাছাড়া আর কি রেখে গেলে আমার জন্য?…আমাকে এভাবে নিঃস্ব করে চলে যাবে কোনোদিন কল্পনাও করতে পারি নাই। আমার জীবনের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বং’স করে দিয়ে চলে গেলে।…এর মধ্যে কি আমিও দায়ী?…’।

এই ডায়েরি পড়ে ওই ছাত্রীর জানতে পারেন তার বড়বোন চঞ্চলের প্র’তারণার শি’কার হয়ে অকালে মা’রা যান। এ পরিস্থিতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অ’ভিযোগ করেন তিনি।

এসব অ’ভিযোগ অস্বীকার করে ওই ছাত্রী (অ’ভিযোগকারী) তার ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ ছিলেন বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান মোহাইম্মীন হোসেন চঞ্চল। পারিবারিক ক’লহের কারণে সম্প্রতি তিনি তাকে ডি’ভোর্স দিয়েছেন বলে জানান। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে তার ডি’ভোর্সি স্ত্রীকে ব্যবহার করছে বলে দাবি করেন অ’ভিযুক্ত চেয়ারম্যান।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. স্নিগ্ধ আক্তার জানান, পাবনা পুলিশ সুপারে কার্যালয়ে একটি লিখিত অ’ভিযোগ এসেছে। পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খাঁনের নির্দেশে সে অ’ভিযোগের ত’দন্তকাজ চলছে।

তবে ত’দন্তাধীন বি’ষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ সুপার জানান, অ’ভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে ত’দন্ত কাজে প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই। সূত্রঃ জাগো নিউজ