স্বপ্নে মাছ ভেবে ঘু’মন্ত স্ত্রী-দুই স’ন্তানকে টু’করো টু’করো করেন হিফজুর

| আপডেট :  ২৫ জুন ২০২১, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ জুন ২০২১, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ণ

স্বপ্নে দেখেছিলেন ঘরে অনেক মাছ ঢুকেছে। আর ব’টি দা দিয়ে ওই মাছ টু’করো টু’করো করেন হিফজুর। কিন্তু স্বপ্নের সেই মাছ ছিল তার স্ত্রী ও দুই শি’শু স’ন্তান। রি’মান্ড শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের গোয়াইনঘাট আমলগ্রহণকারী আ’দালতের বিচারক আলমগীর হোসেনের কাছে এমন জ’বানব’ন্দি দিয়েছেন হিফজুর রহমান। হিফজুর গোয়াইনঘাট উপজে’লার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।

গত ১৬ জুন তার ঘর থেকে স্ত্রী আলেমা বেগম, ১০ বছরের ছেলে মিজানুর রহমান ও ৩ বছরের মেয়ে আনিশার লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। তাদের শরীরে দা’য়ের কোপ ছিল। গ’লা’য়ও ছিল দা’য়ের আ’ঘা’ত। ওইদিন সকালে আ’হতাবস্থায় হিফজুরকেও উ’দ্ধার করে পুলিশ। তার শ’রীরেও ধা’রা’লো অ’স্ত্রে’র আ’ঘা’ত ছিল।

আ’দালতে স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দিতে হিফজুর বলেন, ১৫ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘুমানোর পর স্বপ্নে দেখেন ঘরের ভেতর অনেক মাছ ঢুকেছে। পরে তিনি স্বপ্নের মধ্যে সেই মাছ কে’টে টু’করো টু’করো করেন। পরে হি’তাহিত জ্ঞা’ন ফেরার পর তিনি বুঝতে পারেন তিনি স্বপ্ন দেখে স্ত্রী ও দুই স’ন্তানকে দা দিয়ে কে’টে খু’ন করে ফে’লেছেন। তার নিজের শ’রীরেও দা দিয়ে আ”ঘাত করেন হিফজুর।

আ’দালতে স্ত্রী ও দুই স’ন্তানকে হ’’ত্যার দায় স্বী’কারের বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (ত’দন্ত) দিলীপ কান্তি নাথ। জ’বানব’ন্দি রেকর্ডের পর তাকে কা’রাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন সকালে গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে হিফজুরের স্ত্রী আলিমা বেগম (৩০), ছেলে মিজান (১০) ও তিন বছরের মেয়ে তানিশার লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। ১৫ জুন রাতে কোনো এক সময় ঘু’মন্ত অবস্থায় ঘরের ব’টি দিয়ে তাদের কু”পিয়ে খু”ন করা হয় বলে পুলিশের ধারণা।

সে সময় হিফজুরকে আ’হ’ত অবস্থায় উ’দ্ধা’র করা হলেও শুরু থেকে তাকে স’ন্দেহ করে পুলিশ। এই ঘটনায় আলিমার বাবা আইয়ুব আলী অ’জ্ঞাতদের আ’সা’মি করে মা’ম’লা করেন। তবে হ’ ‘ত্যাকাণ্ডের আলামত ও হিফজুরের উ’ল্টাপা’ল্টা বক্তব্যের জন্য তাকে নজরদারিতে রাখে পুলিশ।

গত ১৯ জুন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চি’কিৎসাধীন অবস্থায় হিফজুরকে হ’’ ত্যা মা’ম’লায় গ্রে’ফ’তার করে পুলিশ। পরদিন ২০ জুন তাকে আ’দালতে হাজির করে জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রি’মান্ড আবেদন করেন ত’দন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক দিলীপ কান্তি নাথ।

এই আবেদনের শুনানি শেষে গোয়াইনঘাটের আমলি আ’দালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস পাঁচ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। শুক্রবার রি’মান্ড শেষের এক দিন আগে হিফজুর এই স্বী’কারোক্তি দেন।