পরীমনির বিপুল বিত্তের উৎস নিয়ে তোলপাড়

| আপডেট :  ২২ জুন ২০২১, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ জুন ২০২১, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

২০১৩ সালে ঢাকাই ছবিতে নাম লিখিয়েছেন। ছবি করেছেন হাতেগোনা ৩০ টি। ছবির মন্দার বাজারে তার সর্বোচ্চ পারিশ্র’মিক ১০ লাখ টাকা ধরলেও ২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত তার আয় ৩ কোটি টাকার বেশি নয়। পাশাপাশি এই সময়ে কিছু বিজ্ঞাপনচিত্র করেছেন সেখান থেকে যদি তার উপার্জন আরও ২ কোটি টাকা ধরে না হয় তাহলে তার সাকুল্যে গত ৮ বছরে উপার্জন হল ৫ কোটি টাকা।

অর্থাৎ বছরে ১ কোটি টাকারও কম। কিন্তু পরীমনি যে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন সেটি এই টাকা দিয়ে মোটেও সম্ভব না। তাই এখন পরীমনি বিতর্কে নতুন বি’ষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে তার বিত্তের উৎস। কিভাবে পরীমনি এতো রাজকীয় জীবনযাপন করেন। আর এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা পরীমনির বোট ক্লাবের ঘটনা ত’দন্তের জন্য জরুরী বলে মনে করছেন আ’সামিপক্ষ।

তারা বলছেন যে, পরীমনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ফাঁ’সানোর মাধ্যমে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন এবং নাসির ইউ. আহমেদকেও ফাঁ’সানোর জন্যই এই নাটকটি সাজিয়েছেন। এখন পরীমনি সাভার থানায় একটি মা’মলা করেছেন। সেই মা’মলাটি এখন ডি’বি ত’দন্ত করছে। ডি’বি ত’দন্তের স্বার্থে যেকোনো তথ্য প্রকাশ গো’পন রাখছেন।

কিন্তু যারা অ’ভিযুক্ত আ’সামি, যাদেরকে গ্রে’ফতার করে রি’মান্ডে আনা হয়েছে তারা জি’জ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্’চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু এই অ’ভিযুক্ত এই রি’মান্ডে থাকা আ’সামিরা নয় বিভিন্ন সূত্র এখন পরীমনির ব্যাপারে তথ্য দিচ্ছেন। পরীমনি যেমন বোট ক্লাব ছাড়াও অল কমিউনিটি ক্লাব এবং বনানী ক্লাবে ভাং’চু’রের অ’ভিযোগ এসেছে। ঠিক একইভাবে একাধিক ব্যবসায়ীকে ফাঁ’সিয়ে দেওয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ।

অবশ্য ব্যবসায়ীরা যেহেতু মা’মলাটির ত’দন্ত চলছে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করছেন যে পরীমনির এই বিত্ত বৈভবের জীবন কিভাবে সম্ভব। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবিসংবাদিত নায়ক হলেন শাকিব খান। শাকিব খানই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্র’মিক নেওয়া তারকা এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঢাকাই ছবিতে রাজত্ব করছেন।

ঢাকাই ছবির একজন প্রযোজক বলেছেন যে, শাকিব খানও পরীমনির মতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না। পরীমনির একাধিক দামি গাড়ি রয়েছে। তার বনানীর ফ্ল্যাট রয়েছে। যে ফ্ল্যাটটির দাম ২০ কোটি টাকার ও’পর। এছাড়াও রয়েছে আরও একাধিক সম্পত্তি। পরীমনি যখন যেখানে যান সেখানেই চলে যেতে পারেন। তিনি দেশের বাইরে যান। তিনি ব্যক্তিগতভাবে একজন কস্টিউম ডিজাইনার রেখেছেন যাকে তিনি মাসিক বেতন দেন।

এছাড়াও তার আরো অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলে বিভিন্ন মহল দাবি করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে যে বৈধ পন্থায় শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বা শিল্পী হিসেবে এই বিপুল বিত্তের মালিক হওয়া উচিত না এবং একাধিক ব্যক্তি অ’ভিযোগ করেছেন যে, পরীমনির যে ঘটনাটি বোট ক্লাবে ঘটেছে সে রকম আরো অনেকের সাথেই ঘটিয়েছেন।

একটি ঘটনা ঘটিয়ে কাউকে ব্ল্যা’কমেইল করা পরীমনির একটি একটি বড় বৈশিষ্ট্য এবং এটি অতীতেও ঘটেছে। তবে এ ব্যাপারে পরীমনি বা ভু’ক্তভো’গীকারী কারো বক্তব্যই পাওয়া যায়নি। পরীমনির বাড়ির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পরীমনি এখন অ’সুস্থ। তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে পারছেন না। সূত্রঃ বাংলা ইনসাইডার