নাম বদলে মুসলিম বিধান মতে আসমাকে বিয়ে করেন হিন্দু সৌমেন মিত্র

| আপডেট :  ১৫ জুন ২০২১, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৫ জুন ২০২১, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ণ

কুষ্টিয়ায় আসমা খাতুন, শি’শু ছেলে রবিন ও শাকিল খানকে পুলিশের এএসআই সৌমেন রায় গু’লি করে হ’’ত্যা করে। এদিকে মু’সলিম বিধান মতে আসমাকে বিয়ে করেন সৌমেন রায়। সে সময় নিজেকে মো. সুমন হোসেন বলে পরিচয় দেন তিনি।

নি’হত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম জানান, কুমারখালী থানায় এএসআই সৌমেন মিত্র চাকরি করাকালীন তাদের সাথে পরিচয় হয়। সেসময় সৌমেন তার নাম বলে মো. সুমন হোসেন এবং সুমন নামেই মু’সলিম বিধান মতে তার মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। এবং বিয়ের পর থেকেই কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়া একটি ভাড়া বাসায় তার মেয়েকে রাখে সৌমেন।

এদিকে নি’হত আসমা খাতুন, তার ছেলে রবিন ও প’রকীয়া প্রেমিক শালিক খানের ম’রদেহ ম’য়নাত’দন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার স’রকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নি’হত তিনজনের লা’শ ম’য়নাত’দন্ত শেষে রোববার রাত ১২টার পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাকিলের লা’শ তার বাবা মেজবা রহমানের কাছে এবং আসমা খাতুন ও তার ছয় বছর বয়সী ছেলের লা’শ মা হাসিনা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নি’হতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ জোহর নি’হত আসমা খাতুন ও তার ছেলে রবিনের জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে নি’হত শাকিল খানের নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজে’লার চা’পড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগর পাড়া গ্রামের মেছের উদ্দিন দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় বাদ জোহর জানাজা শেষে সাঁওতা কারিগর পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়।

সোমবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে সৌমেন মিত্রকে বিচারক মো. রেজাউল করিমের আ’দালতে হাজির করা হয়। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন খান বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিনজনকে গু’লি করে হ’’ত্যার ঘটনায় সৌমেনকে আ’দালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে আ’টকের পর চাকরি থেকে সাময়িক ব’হিষ্কৃ’ত এএসআই সৌমেনকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের ডি’বি কার্যালয়ে রেখে ব্যাপক জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, প’রকীয়ার জেরে কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে স্ত্রী, সৎ ছেলে ও এক বিকাশকর্মীকে গু’লি করে হ’’ত্যার ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় রোববার রাতে মা’মলার হয়েছে। এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আ’সামি করে নি’হত শাকিল খানের বাবা মেজবার রহমান বা’দী হয়ে হ’’ত্যা মা’মলা দা’য়ের করেন। মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (ত’দন্ত) নিশি কান্ত।

প’রকীয়ার জেরে কুষ্টিয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার পুত্রসহ তিনজনকে গু’লি করে হ’’ত্যা করেছে পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এএসআই)। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ম. আ. রহিম সড়কের (পিটিআই রোড) কাস্টমস মোড়ের ডা. আজাদুর রহমানের ৪ তলা ভবনের নিচতলার মার্কে’টের মধ্যে গু’লিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

এএসআই সৌমেন নিজের কাছে থাকা অ’স্ত্র দিয়ে স্ত্রী আসমা ও সঙ্গে থাকা যুবক শাকিলের মাথায় কয়েক রাউন্ড গু’লি করেন। এ সময় শি’শু রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও পেছন থেকে গু’লি করেন।