পরীমণিকে ফাঁদে ফেলেছিলেন অমি!

| আপডেট :  ১৫ জুন ২০২১, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৫ জুন ২০২১, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে। আর এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হলেন ঢাকার ক্লাবপাড়ার পরিচিত মুখ আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি। পরীমণি মামলা দায়ের করার পরপরই গতকাল সোমবার এ দু’জনসহ পাঁচজনকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)। এদের মধ্যে এই তিন নারীকে নাসিরউদ্দিন তার মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবহার করতো বলে ধারণা করছে গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, পরীমণির এ ঘটনার নেপথ্যে মূল ভূমিকা পালন করেন অল্প সময়ে অঢেল বিত্তের মালিক হওয়া অমি। পরীমণির ঘটনা সামনে আসার পরপরই তিন নারীসহ অমির উত্তরার বাসায় গা-ঢাকা দেন নাসির। এ থেকে স্পষ্ট, অমির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

এছাড়া, ৮ জুন মধ্যরাতে কৌশলে পরীমণিকে আশুলিয়ার বেড়িবাঁধে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যান অমি। অভিনেত্রীকে ফাঁদে ফেলতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এটা করেন তিনি। এরপর সেই রাতে পরীমণি ভয়ংকর নিপীড়নের শিকার হন। এ সময় অভিনেত্রীকে বাঁচাতে কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো নিপীড়কদের সহায়ক হন তিনি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো পথ না পেয়ে চার দিন পর রোববার অভিনেত্রী নিজেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি সবার সামনে আসে। এরপর নড়েচড়ে বসেন সংশ্নিষ্টরা।

পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ সমকালকে বলেন, এ ঘটনা দুঃখজনক, অনভিপ্রেত। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার পরপরই আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করেছি আমরা। ক্লাব কর্তৃপক্ষও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যার যে পরিচয় হোক বা যত ক্ষমতাধর হোক, অপরাধ করলে ছাড় নয়।