লা’শ সেপটিক ট্যাংকে ফে’লে পাশে ম’রা শিয়াল রেখে যায় খু’ নিরা

| আপডেট :  ৫ জুন ২০২১, ০১:৫৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ জুন ২০২১, ০১:৫০ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নি’খোঁজের ছয়দিন পর শাহিনুর আলম ওরফে ইকবাল (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। ম’রদেহের গন্ধ ঢাকতে পাশে একটি মৃ’ত শিয়াল রেখে যায় খু’নিরা। নি’হতের স্বজনদের ধারণা, ইকবালের ম’রদেহের দুর্গন্ধ ধা’মাচা’পা দেয়ার জন্য শিয়াল মে’রে ম’রদেহের পাশে ফে’লে যান খু’নিরা, যেন শিয়াল ম’রা গন্ধ মনে করে কেউ লা’শের খোঁজ না করেন।

শনিবার (৫ জুন) দুপুরে উপজে’লার কামারিয়া ইউনিয়নের পলা’শকান্দা গ্রামের পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে ম’রদেহটি উ’দ্ধার করা হয়।

মৃ’ত শাহিনুর আলম ওরফে ইকবাল উপজে’লার কামারিয়া ইউনিয়নের পলা’শকান্দা গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ রুমডো পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নি’হতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৩১ মে রাত ১০টার দিকে ইকবাল রাতের খাবার খেয়ে চা পানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় অপরিচিত ২ থেকে ৩ জন যুবক ইকবালের সঙ্গে কথা বলে। এর ঘণ্টাখানেক পর হঠাৎ করেই অপরিচিত যুবকরাসহ ইকবাল নি’খোঁজ হন। পরের দিন ১ জুন নি’হতের বাবা আব্দুর রওফ বা’দী হয়ে তারাকান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জি’ডি) করেন।

এ ঘটনার ছয়দিন পর শনিবার সকালে ইকবালের বাড়ি থেকে প্রায় ৩শ গজ দূরে হাউজি খেলার মাঠের পাশে পরিত্যক্ত ঘরের ভেতর থেকে স্থানীয়রা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিয়াল মরা দেখে ফেরত আসেন। তবে বি’ষয়টি নিয়ে নি’হতের স্বজনদের স’ন্দেহ থাকায় আবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংকের ঢাকনা খুলে ইকবালের গলিত ম’রদেহ উ’দ্ধার করে পুলিশ।

নি’হত ইকবালের ভাই সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বি’রোধ ছিল। এই বি’রোধ থেকেই তারা আমার ভাইকে খু’ন করে থাকতে পারেন। আমি খু’নিদের ফাঁ’সি চাই।’

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ইকবালকে খু’ন করে পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংকে ম’রদেহ ফে’লে দেন খু’নিরা। ম’রদেহ উ’দ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মা’মলা দা’য়েরের প্রক্রিয়া চলছে।