৯ বছরের শি’শুকে দিয়ে ৬ মাস দে’হব্যবসা

| আপডেট :  ৫ জুন ২০২১, ০৫:২২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ জুন ২০২১, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশ: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজে’লার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের কচুয়ার পার গ্রামের ৯ বছর বয়সী শি’শুকন্যা নি’খোঁজ হয়েছিল গত ঈদুল আজহার ৩ দিন আগে। এ বি’ষয়ে ওই শি’শুর পিতা গোয়াইনঘাট থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি ও পরে একটি লিখিত অ’ভিযোগ দায়ের করেন। প্রায় গত এক বছর পর অবশেষে ওই শি’শুকন্যাটিকে উ’দ্ধার করেছেন গোয়াইনঘাট থানাধীন সালু’টিকর পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান।

এবি’ষয়ে গোয়াইনঘাট উপজে’লার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অ’ভিযুক্ত করে গোয়াইনঘাট থানায় লিখিত অ’ভিযোগ দায়ের করেন নি’খোঁজ জনৈক ৯ বছর বয়সী শি’শু কন্যার পিতা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের কচুয়ার গ্রামের হারিয়ে যাওয়া ৯ বছর বয়সী শি’শু কন্যার সন্ধানে গোয়াইনঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শি’শু কন্যার পিতা। অ’ভিযোগ ও জি’ডির সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানাধীন সালু’টিকর পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান শি’শুকন্যাটির সন্ধানে দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশল অবলম্বন করেন।

জানা যায়, নি’খোঁজ শি’শুটি এক পর্যায়ে কুমিল্লা জে’লার লাকসাম উপজে’লার লাকসাম গ্রামের হালিমা বেগম নামের এক দেহব্যবসায়ীর হাতে পড়ে। হালিমা সিলেট নগরীর শাহীঈদগাহস্থ অনামিকা ৬২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। হালিমা বেগম তুলে দেন খদ্দের বিয়ানীবাজার উপজে’লার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলী ছেলে জসিম উদ্দিনের হাতে। জসিম উদ্দিন ওই ৯ বছর বয়সী শি’শু কন্যাকে নিয়ে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকার গুলবাহার হোটেলের ৫ম তলার ৫০৫ নাম্বার কক্ষে শি’শু কন্যাকে জো’রপূর্বক একাধিকবার ধ”ণ করে। ওইদিন কৌশলে শি’শুকন্যাটি তার পিতার মোবাইলে ফোন করে।

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানাধীন সালু’টিকর পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে (৩ জুন) দিবাগত-রাত থেকে সিলেট শহর ও বিয়ানীবাজার উপজে’লায় অ’ভিযান পরিচালনা করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সহযোগীতায় জসিম উদ্দিনকে আ’টক করেন। জসিমউদদীনের দেয়া তত্ত্বের ভিত্তিতে সিলেট শহরের উপশহরস্থ গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার জকিগঞ্জ উপজে’লার দরিয়াপুর গ্রামের মৃ’ত ম’দরিছ আলীর ছেলে ওয়াজিদ আলীকে আ’টক করেন।

জসিম উদ্দিন ও ওয়াজেদ আলীকে আ’টকের পর শি’শু কন্যাটিকে না পেয়ে তারা উভয়ের সহযোগিতা নিয়ে দেহব্যবসায়ী হালিমা বেগমকে মোবাইলে ওই শি’শু কন্যাকে ৫ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। হালিমা বেগম ৫ হাজার টাকার চুক্তি মতো শি’শু কন্যাটিকে নিয়ে হোটেল গুলবাহারে যান। এসময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা পুলিশ দল হালিমাকে গ্রে’প্তার করে। এবং শি’শু কন্যাকে গ্রে’প্তার করে।

এ বি’ষয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ই’নচার্জ মো. আব্দুল আহাদ বলেন, গোয়াইনঘাট উপজে’লার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের কচুয়ার পার গ্রামের ৯ বছরের একটি শি’শু নি’খোঁজ হয়েছিল। শি’শুটির পিতা প্রথমে গোয়াইনঘাট থানায় একটি জি’ডি ও পরে লিখিত অ’ভিযোগ করেন। এরই সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানাধীন সালু’টিকর পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান শি’শুটিকে উ’দ্ধার করেন। জড়িতদের গ্রে’ফতার করেন। বর্তমান এ বি’ষয়ে থানায় মা’মলার প্রস্তুতি চলছে। এবং ভি’কটিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি পাঠানো হয়েছে।