আগামী সপ্তাহেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু

| আপডেট :  ১ জুন ২০২১, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ জুন ২০২১, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ণ

দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে আগামী সপ্তাহ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে। জানা গেছে, এক্ষেত্রে আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রথমে টিকার আওতায় আনা হবে। সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে উভয় ডোজ টিকা দেওয়ার পরই খুলে দেওয়া হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রেমে সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে।

তবে এর আগে, শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমাতে দু-একদিনের মধ্যে স্থগিত সেমিস্টার পরীক্ষাগুলো নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে। শিক্ষাজীবন রক্ষার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি এবং অনলাইন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা নেওয়া  হবে। এছাড়া সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগের পাঠ্যসূচি ‘কাস্টমাইজড’ (জ্ঞানগত প্রয়োজনের নিরিখে অপরিহার্য অংশ) করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কাস্টমাইজড সিলেবাসের ভিত্তিতে কোর্স ও ক্লাস কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল বিষয়গুলো চূড়ান্ত করবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে সোমবার বহুপক্ষীয় ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির প্রধান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অংশ নেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সভায় জাতীয় কারিগরি কমিটির প্রধান অধ্যাপক সহিদুল্লা সতর্ক করে বলেছেন, জুনে করোনা সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ আসতে পারে। ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে ব্যাপক সংক্রমণ হয়েছে। সাতটি জেলায় গড়ে ৭০ শতাংশ করে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলে সংক্রমণ ভয়ানক রূপ নিতে পারে। কেননা আবাসিক হলগুলোতে বসবাসের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন দুরূহ হতে পারে। তাই অন্তত আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের টিকা দেওয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রসংগত, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন ছাত্রছাত্রীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বহুপক্ষীয় ভার্চুয়াল সভার আহ্বান হয় বলে জানা গেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সভার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে একাধিক উপাচার্য এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, সভার সিদ্ধান্ত প্রকাশ না করার ব্যাপারে অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে ইউজিসি সভার রেজ্যুলুশন প্রস্তুত করবে। এরপর তা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হবে।