মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে লেনদেন ৬ কোটি টাকা

| আপডেট :  ৩০ মে ২০২১, ০২:৫৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ মে ২০২১, ০২:৫৪ অপরাহ্ণ

হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাস’চিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গো’য়েন্দা পুলিশ (ডি’বি)। রোববার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ডি’বি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গো’য়েন্দা পুলিশের (ডি’বি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে আমরা গ্রে’ফতার করেছি। গ্রে’ফতারের মধ্য দিয়ে অনেক মা’মলার ত’দন্তে অগ্রগতি হয়েছে।

এর মধ্যে হেফাজতের অর্থনৈতিক বি’ষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করছি। মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি গ্রে’ফতার করা হয়েছে হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক কাসেমীকে। তার কাছেও বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট পেয়েছি, সেগুলোরও ত’দন্ত চলছে। এই অর্থায়নগুলো হয় বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে। প্রবাসীরা মাদরাসা কিংবা মাদরাসা-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে হেফাজতের কাছে দান করে থাকে। এর মধ্যে রো’হিঙ্গাদের জন্যও তারা দান করে থাকে। এছাড়াও হেফাজতের জন্যও কিছু কিছু টাকা বিদেশ থেকে আসে।

এই টাকাগুলো বিদেশ থেকে আসার পর সেগুলো সঠিকভাবে হেফাজত ইসলামের নেতারা সঠিকভাবে মেইনটেইন করতেন না। তাদের নিজের ইচ্ছামতো টাকাগুলো নেয়ার পর খরচ করতেন। তারা এই টাকাগুলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। রো’হিঙ্গাদের টাকাও হেফাজত নিজেদের কাজে ব্যবহার করত। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ টাকা তারা তসরুপ করেছে। টাকাগুলো দিয়ে হেফাজত নেতারা নিজেদের বাড়ি-গাড়ি করেছে।

ত’দন্তে দেখা গেছে, মাদরাসার সংগঠন বেফাক কিংবা হায়াতুল উলয়া এসব সংগঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন কিন্তু এসব সংগঠনও হেফাজতের কাছে জি’ম্মি হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব সংগঠনগুলো তাদের সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ ধরনের অর্থ যাদের হাতে চলে যাচ্ছে কিংবা অর্থের নিয়ন্ত্রক যারা তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে তারাই এই টাকাগুলোর মালিক হচ্ছে। আবার অনেক ভালো আলেম-ওলামা আছেন তারা এই সিন্ডিকে’টের কাছে অ’সহায় হয়ে যাচ্ছে। কারণ যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বি’ষয়ে আলাদা মা’মলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ২০১৩ সালের ১৪টি মা’মলা আমরা ত’দন্ত করছি। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি মা’মলা আমরা পেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য গো’য়েন্দা বাহিনীও এসব বি’ষয় নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই মা’মলার ত’দন্ত প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানান তিনি। সুত্রঃ জাগো নিউজ