এক বছর টিকটক হৃদয়ের নি’ র্যাতনের শি’কার মে’য়ের খোঁজ পাচ্ছিল না বাবা

| আপডেট :  ২৮ মে ২০২১, ০৪:১৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ মে ২০২১, ০৩:৫৯ অপরাহ্ণ

ভারতে যে বাংলাদেশি ত’রুণীকে যৌ’ন নি’র্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তিনি প্রায় এক বছর ধরে পরিবার থেকে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন ছিলেন। মেয়েটির পরিবার বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে পাঠানোর কথা বলে ভারতে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে কয়েকজন মিলে এক ত’রুণীকে নি’র্যাতনের চিত্র প্রকাশ পায়। ওই ভিডিও নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ভিডিওতে দেখা যাওয়া পাঁচ নি’র্যাতনকারীর ছবি প্রকাশ করে তাঁদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পুরস্কার ঘোষণা করে ভারতের আসাম পুলিশ। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় জ’ড়িত অ’ভিযোগে ছয়জনকে গ্রে’প্তার করে।

এদিকে ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় এ দেশের পুলিশও সক্রিয় হয়। অনলাইনে অনুসন্ধান চা’লিয়ে ভিডিওতে যাঁদের দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় নামের ওই যুবক ঢাকার মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রে’প্তার হওয়ার আগেই ঢাকায় তাঁর স্বজনদের দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করায় পুলিশ। সে সময় রিফাদুল ইসলাম মেয়েটির ও’পর নি’র্যাতন চা’লানোর কথা স্বীকার করে বলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন।

পরে রিফাদুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নি’র্যাতনের শি’কার মেয়েটির পরিবারের সন্ধান পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির বাবা হাতিরঝিল থানায় রিফাদুলসহ অ’জ্ঞাতপরিচয় আরও চারজনকে আ’সামি করে মানবপা’চার ও প’র্নোগ্রাফি আইনে মা’মলা করেন।

সেই মা’মলায় তিনি লিখেছেন, ২২ বছর বয়সী তাঁর বড় মেয়েকে কয়েক বছর আগে বিয়ে দেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে তাঁর। বছর তিনেক আগে তাঁর জামাতা কুয়েতে চলে যান। এরপর থেকে মেয়ে শ্বশুরবাড়ি এবং ঢাকায় তাঁর বাসা মিলিয়ে থাকতেন। একপর্যায়ে জামাতা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তারপর বছর দেড়েক আগে মেয়ে দুবাইয়ে যাবেন বলে তাঁকে জানান। কার মাধ্যমে দুবাইয়ে যাবেন জানতে চাইলে মগবাজার এলাকার বন্ধু হৃদয়ের মাধ্যমে ভারত হয়ে দুবাইয়ে যাবেন বলে জানান।

মেয়েকে বিদেশে যেতে বারণ করেছিলেন জানিয়ে মেয়েটির বাবা বলেন, এরপর প্রায় এক বছর তাঁর মেয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আত্মীয়স্বজনদের কাছে গিয়েও তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে মেয়ের কথিত বন্ধু হৃদয়ের বি’ষয়ে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, রিফাদুল ইসলাম হৃদয়সহ অপর আ’সামিরা তাঁদের কাউকে না জানিয়ে মেয়েকে দুবাইয়ে পাঠানোর কথা বলে পা’চারের উদ্দেশ্যে বিদেশে নিয়ে গেছেন।

সর্বশেষ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আশপাশের পরিচিতজনদের কাছে মেয়ের খোঁজ পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
রিফাদুল ইসলামসহ ছয়জনকে গ্রে’প্তার করে ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশ বলছে, তাঁরা সবাই মানবপা’চারকারী চ’ক্রের সদস্য। তাঁদের সঙ্গে কেরালার কয়েক ব্যক্তিও জ’ড়িত। তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আর নি’র্যাতনের শি’কার মেয়েটি ভারতের অন্য একটি রাজ্যে রয়েছেন। তাঁকেও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।