লিচুতে কেমিক্যাল দেওয়া কিনা বুঝবেন যেভাবে

| আপডেট :  ২৮ মে ২০২১, ০৫:২২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ মে ২০২১, ০৫:২২ পূর্বাহ্ণ

গ্রীষ্মকালকে বলা হয় ফলের মাস। আর এই ঋতুর অন্যতম জনপ্রিয় ফল লিচু। শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রায় সব বয়সীরাই লিচু অনেক পছন্দ করে। বিশেষ করে ছোটরা খুব পছন্দ করে রসালো মিষ্টি এ ফলটি। সাধারনত বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের লিচু হয়।প্রতিটা জাতের লিছুর মধ্যেই রঙ এবং স্বাদের পার্থক্য থাকে। লাল ছাড়াও কমলা বা হালকা বাদামি রঙয়েরও লিচু পাওয়া যায়। তবে লাল টুকটুকে লিচুগুলোই সবাইকে বেশি আকৃষ্ট করে। কিন্তু অনেক সময় লিচু মুখে দেওয়ার পর টক লাগে, প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। আবার অনেক সময় লিচুতে মেশানো হয় লাল কেমিক্যাল। যা খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন। এছাড়া এটি ক্যান্সারেরও অন্যতম কারণ। তবে এমন কিছু উপায় আছে যা দেখে সহজেই বোঝা যায় লিচুতে রঙ বা কেমিক্যাল দেওয়া কিনা। আজকের আয়োজনে থাকছে এমন কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা

১. ভালো মানের লিচুগুলো উজ্জ্বল রঙয়ের হয়ে থাকে তাই লিচু কেনার সময় প্রথমেই এর খোসার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

২. সাধারণত বেশি পাকা এবং নষ্ট লিচুর বেশিরভাগই নরম হয়ে থাকে। তাই কেনার সময় লিচু হাতে নিয়ে চাপ দিয়ে দেখা উচিত লিচু বেশি নরম কিনা।

৩. লিচু কেনার সময় নাকের কাছে নিয়ে দেখুন মিষ্টি গন্ধ পান কিনা। কারণ পাকা লিচু দিয়ে সবসময় মিষ্টি গন্ধ বের হয় এবং কেমিক্যাল দেওয়া থাকলে মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায় না।

৪. কেনার সময় লিচু ভালো কি-না তা পরীক্ষা করতে একটি লিচুর খোসা ছড়িয়ে দেখতে পারেন। যদি খোসা সহজেই খুলে আসে, তাহলে সেটি পাকা ও মিষ্টি। আর যদি সহজে খোসা না ছাড়ানো যায় অথবা লিচুর ভেতরের অংশে বাদামি দাগ দেখা যায়, তাহলে সেটি নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

৫. সবসময় গাঢ় রঙয়ের লিচু কিনবেন এবং এর সাইজ যেন অন্তত এক ইঞ্চি হয়। এমন লিচুগুলো পরিপক্ক হয়ে থাকে।

৬. লিচুর খোসা বাদামি বা দাগযুক্ত হলে এধরনের লিচু কিনবেন না। সাধারনত এধরনের লিচু নষ্ট হয়।

৭. সাধারণত পচা লিচুগুলোর মুখও পচা থাকে। যদি মুখটি ডালযুক্ত থাকে, তাহলে সেটি কিনতে পারেন।