রোজিনার গ’লা চে’পে ধ’রা সেই না’রীর পরিচয় মিলেছে

| আপডেট :  ২০ মে ২০২১, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ মে ২০২১, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ণ

স’রকারের তথ্য চু’রি ও ছবি তোলার অ’ভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সোমবার ম’ন্ত্রণালয়ে ৫ ঘণ্টা আ’টক রেখে রাতে পুলিশে দেয়া হয়। পরে এসব অ’ভিযোগে তার বি’রুদ্ধে মা’মলা হয়। ম’ন্ত্রণালয়ে আ’টক রাখা অবস্থায় তাকে শা’রীরিক নি’র্যা তন করা হয় এবং স’রকারের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তাও এই নি’র্যা তনে অংশ নেন। তেমনি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয়ে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে শা’রীরিকভাবে হে’ন’স্তা করা ওই না’রীর নাম মাকসুদা সুলতানা পলি। তিনি স্বা’স্থ্য সেবা বিভাগের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অডিট অনুবিভাগের অফিস সহায়ক। স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সোমবার (১৭ মে) হে’ন’স্তার ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি ছ’ড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, রোজিনা ইসলামের গ’লা চে”পে ধরছেন এক না’রী। তিনি একজন অতিরিক্ত স’চিব বলে গুঞ্জন ওঠে।

তবে স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, হে’ন’স্তাকারী ওই না’রী মাকসুদা সুলতানা পলি। এ ঘটনার ছবি প্রকাশ পাওয়ায় নিজেকে আড়ালে রাখতে চাচ্ছেন তিনি।বুধবার (১৯ মে) স’চিবালয়ে স্বা’স্থ্য সেবা বিভাগে পলির কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার অফিসে আসেননি তিনি। বুধবার সকালে অফিসে এলেও বেশিক্ষণ থাকেননি। এরপর দুপুরে আবার এসে কয়েক মিনিট পর বের হয়ে যান।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে মাকসুদা সুলতানা পলির মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেও কোনো কথা বলেননি তিনি। এরপর আরও কয়েকবার কল করা হলেও আর রিসিভ করেননি।

এর আগে গত সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আ’টকে রেখে হে’নস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অ’সুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে স’চিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। রাতেই তার বি’রুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মা’মলা করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রোজিনাকে আ’দালতে নেওয়া হয়। বেলা ১১টার একটু পরে সিএমএম আ’দালতে তোলা হয় তাকে। মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি ত’দন্ত) আরিফুর রহমান সরদার তার পাঁচ দিনের রি’মান্ড আবেদন করেন। বিচারক রি’মান্ড নামঞ্জুর করে কা’রাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কা’রাগারে আছেন।