ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট দেখে বিস্মিত ইসরায়েল

| আপডেট :  ১৮ মে ২০২১, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৮ মে ২০২১, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ

সাম্প্রতিক ই’সরায়েলের নৃ’শংস আগ্রাসনের জবাবে ফিলিস্তিন থেকে একের পর এক রকেট হা’মলা চা’লানো হচ্ছে। আগ্রাসনের পাল্টা জবাব হিসেবে যে হারে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হা’মলা চালাচ্ছে ফিলিস্তান, তা দেখে বিস্মিত গোটা ই’সরায়েল। ই’সরায়েলের সে’নাবা’হিনী গতকাল রোববার স্বীকার করেছে, এবারের সং’ঘাতে তারা ফিলিস্তিন থেকে সর্বোচ্চহারে রকেট হা’মলার মুখে পড়েছে তারা।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে ই’সরায়েলের সে’নাবা’হিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল অরি গর্ডিন বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন হামাস গোষ্ঠী আজ সোমবার পর্যন্ত ই’সরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় তিন হাজার রকেট ছু’ড়েছে।

আগে হামাস বা লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে সং’ঘা’তকালে ই’সরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে যে হারে রকেট ছোড়া হয়েছিল, সেই তুলনায় এবার ই’সরায়েল অনেক বেশি হারে রকেট হা’মলার মুখে পড়েছে বলে জানান মেজর জেনারেল অরি গর্ডিন। ই’সরায়েলের সে’নাবা’হিনীর তথ্যমতে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে ফিলিস্তিনের সঙ্গে এক দফায় সং’ঘাতে জড়ায় ই’সরায়েল। তখন তিন দিনে গাজা উপত্যকা থেকে ই’সরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে মোট ৫৭০টি রকেট ছো’ড়ে হামাস।

২০০৬ সালে লেবাননের স’শস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যু’দ্ধে জড়ায় ই’সরায়েল। ওই যু’দ্ধে ১৯ দিনে হিজবুল্লাহ প্রায় ৪ হাজার ৫০০ রকেট হা’মলা চা’লায় ই’সরায়েলে। হিজবুল্লাহর রকেট হা’মলায় তখন ই’সরায়েলের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষ’তি হয়। হিজবুল্লাহর সঙ্গে এই যু’দ্ধের পরই ই’সরায়েল একটি নতুন ক্ষে’পণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ার বি’ষয়ে ঘোষণা দেয়। তারপরই তারা ‘আয়রন ডোম’ নামের বিশ্বের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলে। ই’সরায়েল ২০১১ সালে প্রথম ‘আয়রন ডোম’ মোতায়েন করে।

এছাড়া ই’সরায়েলি সে’নাবা’হিনীর দাবি, আয়রন ডোমের মাধ্যমে তারা অধিকাংশ রকেট হা’মলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার গাজা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হা’মলার পরিপ্রেক্ষিতে আয়রন ডোমের দুর্বলতা সামনে আসছে। গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট আয়রন ডোম ফাঁকি দিয়ে ই’সরায়েলে আ’ঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ই’সরায়েল-ফিলিস্তিন র’ক্তক্ষয়ী সং’ঘাত চলছে।

এই সং’ঘাতে আজ পর্যন্ত ই’সরায়েলকে লক্ষ্য করে সর্বোচ্চহারে রকেট হা’মলা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন ই’সরায়েলি সে’নাবা’হিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল অরি গর্ডিনের কাছে রেখেছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, এ বি’ষয়ে তিনি শুধু একমতই নন, এ-সংক্রান্ত তথ্যও উপস্থাপন করছেন।

গতকাল পর্যন্ত ই’সরায়েলের নৃ’শংস হা’মলায় গাজায় প্রা’ণহা’নি বেড়ে প্রায় ২০০ হয়েছে। নি’হত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৮টি শি’শু রয়েছে। ই’সরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত তাদের ১০ জন নি’হত হয়েছে। ই’সরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার র’ক্তক্ষয়ী সহিং’সতা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাস’চিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই সহিং’সতা অঞ্চলটিকে একটি নিয়ন্ত্রণহীন সং’কটে নিমজ্জিত করতে পারে।