সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আ’টকে রেখে থানায় নেওয়া হলো সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে

| আপডেট :  ১৭ মে ২০২১, ০৪:৫৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ মে ২০২১, ০৪:৩৯ অপরাহ্ণ

পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় স’চিবালয়ে আ’টকে রেখে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে। রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স’চিবালয়ে স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয়ে যান। তাঁকে সেখানে একটি কক্ষে আ’টকে রাখা হয় এবং তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অ’সুস্থ হয়ে পড়েন।

রোজিনা ইসলামকে আ’টকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয়ের ওই ভবনে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রোজিনাকে আ’টকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলেও স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছুই জানাননি। পরে বিকেলে সাংবাদিকেরা স’চিবালয়ের বাইরে জড়ো হয়ে রোজিনা ইসলামকে হে’নস্তা ও আ’টকে রাখার প্র’তিবাদ করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, রোজিনা ইসলাম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অনন্য। আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর স্বীকৃতি আছে। এমন একজন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আ’টকে রাখা অন্যায়, অনভিপ্রেত। কী কারণে এভাবে আ’টকে রাখা হয়েছে, অ’সুস্থ হওয়ার পরও তাঁকে হাসপাতালে না নেওয়ার বি’ষয়টির সুষ্ঠু ত’দন্ত হওয়া দরকার। রোজিনাকে হে’নস্তা করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে।

রোজিনা ইসলামকে দীর্ঘ সময় আ’টকে রেখে হে’নস্তা করা হয়েছে, এ বি’ষয়ে স’চিবালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকেরা স্বা’স্থ্যসেবা বিভাগের স’চিবের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু স’চিবের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

পরে স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনা ইসলামের বি’রুদ্ধে কিছু নথির ছবি তোলার অ’ভিযোগ এনে থানায় অ’ভিযোগ করা হয়েছে।

রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানায়, স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয়ের অ’ভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে থানায় আনা হয়েছে।
শাহবাগ থানার সামনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা অবস্থান করছেন।

রোজিনা ইসলামকে দীর্ঘ সময় আ’টকে রেখে হে’নস্তা করার ঘটনায় তীব্র নি’ন্দা জানিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী। তিনি অবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। সূত্রঃ প্রথম আলো