সব
মার্চ থেকে বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবীতেই বেড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। বাংলাদেশে প্রতিদিনের মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে শতক ছাড়িয়েছে। তবে এর বিপরীতে অনেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থও হয়ে উঠছেন। আর এর জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। আজকের আয়োজনে থাকছে এমন কিছু লক্ষণ নিয়ে আলোচনা যেগুলো থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আবশ্যক।
অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা: করোনার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই একটি ভালো মানের পালস অক্সিমিটার সাথে রাখুন। প্রায়ই যদি অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করে তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে আলাপ করুন এবং সে ক্ষেত্রে আপনার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা: শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যাথা করোনার মারাত্মক সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। কারণ করোনাভাইরাস এমন একটি ভইরাস যা ফুসফুসে সংক্রমিত হয় এবং ফুসফুসের সুস্থ কোষগুলোকে আক্রমণ ঘটিয়ে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই যদি আপনার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, হাঁটতে সমস্যা হয় তবে সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
বিভ্রান্তির সম্মুখীন: ঘুম কম হওয়া, বিভ্রান্তিতে পড়া, ভুলভাল বকাকে করোনার তীব্রতর লক্ষণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ চিকিৎসকদের মতে করোনা মস্তিষ্ক ও নার্ভের ওপরেও প্রভাব ফেলে। তাই রোগী যদি তার স্বাভাবিক কাজ করতে সমস্যায় পড়ে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
বুকে ব্যথা: করোনাভাইরাস ফুসফুসের মিউকোসাল লাইনিংগুলোকে আক্রমণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি বুকে ব্যথার কারণ হয়। তাই বুকে ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
করোনার সাধারণ কিছু লক্ষণ: করোনার সাধারণ কিছু লক্ষণ যা প্রকাশ পায় তা হলো জ্বর, গলা ব্যথা, খুশখুশে কাশি, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। সব লক্ষণ মনিটর করে একজন করোনা রোগীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন নাকি বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব।
নীলচে ঠোঁট: অক্সিজেনের স্যাচুরেশন কমে গেলে মুখ আর ঠোঁটের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এটি একটি ভয়াবহ লক্ষণ। এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে হবে।
