‘আমার বাবা পাগল না, তিনি সব বুঝেই করেছেন’

| আপডেট :  ১৫ জুন ২০২২, ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৫ জুন ২০২২, ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ চিত্রনায়ক ওমর সানী, অভিনেত্রী মৌসুমী ও জায়েদ খান বিনোদন অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। মূলত মৌসুমীকে ঘিরেই তর্ক-বিবাদে জড়িয়েছেন ওমর সানী ও জায়েদ খান। বিয়ের অনুষ্ঠানে চড়-গুলি করার ঘটনায় শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করার পরেই মৌসুমী জায়েদ খানকে ভালো ছেলে বলে জায়েদের পক্ষে কথা বলেন। একটি অডিও বার্তায় জায়েদকে নির্দোষ দাবি করেন মৌসুমী। তিনি বলেন, আমাকে বিরক্ত করার কোনো ঘটনায় ঘটেনি। বরং জায়েদ আমাকে সম্মান করেন।

অন্যদিকে বাবার পক্ষে কথা বলেন মৌসুমী-সানীপুত্র ফারদিন। জায়েদ খান পারিবারিক ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। ‘আমার বাবা সিনিয়র, তিনি (জায়েদ) বেয়াদবি করছেন। এ বেয়াদবির কারণে একটা থা’প্পড় দিয়ে বসেছেন। থাপ্পড়ের পর যদি তিনি পি’স্তল বের করেন, সেটা তো অবশ্যই দুঃখজনক।’

সানী বারবার দাবি করে গণমাধ্যমকে জানান, বিরক্ত করার যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ তাদের ছেলে ফারদিনের কাছে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। বাবা-মায়ের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার আব্বা এত বছর ধরে চলচ্চিত্র আছেন, তিনি তো না বুঝে কথা বলবেন না। আর যাঁকে নিয়ে অভিযোগ এসেছে, তাঁকে (জায়েদ খান), দিয়ে তো সব সম্ভব। এর চেয়ে বেশি নোংরা কিছু করা সম্ভব। সবকিছুই সম্ভব। তবে তাঁকে আমার ফ্যামিলির জন্য কোনো একটা ইস্যু বা টিস্যু কোনো কিছুই মনে করি না।’

এদিকে ফারদিন বলেন, ‘আমার বাবা সিনিয়র, তিনি (জায়েদ) বেয়াদবি করছেন। এ বেয়াদবির কারণে একটা থা’প্পড় দিয়ে বসেছেন। থাপ্পড়ের পর যদি তিনি পি’স্তল বের করেন, সেটা তো অবশ্যই দুঃখজনক। এই শিক্ষাটা তো আমি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাইনি। বাট আমাদের ফ্যামিলিতে জায়েদ খান কীভাবে ক্ষতি করতে চাচ্ছেন, এটা বলতে গেলে লম্বা ঘটনা।’

বা–মাকে সব সময় সবার আগে গুরুত্ব দেন ফারদিন। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বুঝতে পারছিলেন তার মায়ের মন খারাপ। মায়ের বক্তব্য নিয়ে মায়ের ভক্তদের উদ্দেশ করে এ সময় ফারদিন বলেন, ‘চিত্রনায়িকা মৌসুমির পেছনে একটি মানুষ আছে। মানুষ রাগ করে অনেক সময় অনেক কিছু বলে। আম্মু আব্বুর ওপর রাগ করে কথাগুলো বলেছেন।’

ফারদিন বলেন, আর আমি গত তিন চার মাস ধরেই বুঝে আসছি জায়েদ ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। ঘটনার দিন রাতে তিনি আমাকে পুলিশকে দিয়ে ফোনও দিয়েছে। তাকে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই পছন্দ করেন না।‘তিনি (জায়েদ খান) থাপ্পড় খাওয়ার যোগ্য দেখেই থাপ্পড় খেয়েছেন। আর আমার বাবা পাগল না। বুঝেই সেসব করেছেন। মায়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছেন তিনি। তাকে প্রপারলি শাস্তি দিয়েছেন আব্বা।’