সব
রাজধানীতে মানবপাচার চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব। বিদেশে পাচার করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করতো তারা। টাকা না পেলে করা হতো ভয়াবহ নির্যাতন। এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ নারীকে বিয়ের পর পাচার করেছে কথিত ডাক্তার লিটন। তাদের হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে পাচারের নির্মম কাহিনী র্যাবের কাছে বর্ণনা করেছে দুই নারী। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন একথা জানান।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, আটক লিটন বিয়ে করে নারীদের পাচার করতো। এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ নারীকে বিয়ের পর পাচারের তথ্য পেয়েছে র্যাব। এছাড়া নার্স, মেডিকেল এসিসট্যান্টসহ নানা কাজের লোভ দেখিয়ে নারীদের পাচার করতো এই দুইজন। এজন্য বিভিন্ন দপ্তরের ভুয়া কাগজপত্র, সিলমোহর তৈরি করতো তারা নিজেরাই।
কথিত স্ত্রীদের মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করতেন। অভিযোগ আছে দেহ ব্যবসা করানোর। যাতে ইরাকেই অন্তত ৫ নারীকে পাচার করেছেন তিনি।
অবশেষে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে অভিযান চালিয়ে লিটনসহ চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা জানায়, এরইমধ্যে ৩০-৩৫ জন নারীকে পাচার করেছে চক্রটি।এই চক্রের হাতে পাচার হওয়া অনেক নারী এখনও ইরাকে তাদের পরিচিত দালালদের হাতে জিম্মি আছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা।