সেই নওশাদ মারা যাননি, মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক চলছে

| আপডেট :  ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৫:৩০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৫:৩০ অপরাহ্ণ

মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক চলছে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমডি ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। বলেছেন, বোর্ড থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে ‘নওশাদ মারা গেছেন’ এমন খবর একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এ নিয়ে বিমান এমডির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা (বোর্ডের) ডিসিশান এখনও পাইনি। মেডিক্যাল বোর্ডের ডিসিশানটা পেলে জানাতে পারব।’

বিমানের এমডি বলেন, আমরা শুনেছি তার অবস্থা খারাপ হয়েছে। যার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। আমরা সেই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না। তবে এতটুকু জানতে পেরেছি তার অবস্থার অবনতি হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে পাইলট এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, পাইলট নওশাদ এখনো জীবিত। আমরা জীবিত মানুষকে কেন মৃত বলে গুঞ্জন ছড়াচ্ছি? নওশাদ লাইফ সাপোর্টে আছেন। ডাক্তাররা এখনো কিছু জানাতে পারেনি। বোর্ডমিটিং চলছে। সে এখন খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেন। তখন ভারতের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময়ে তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

তখন কো পাইলট বিমানটি ল্যান্ড করান। ফলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে সেখানে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটির ১২৪ জন যাত্রীর প্রত্যেকেই নিরাপদে ছিলেন। জরুরি অবতরণের পর পাইলট কাইউমকে নাগপুরের হোপ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ বিমান সূত্রে আরও জানা যায়, গতকাল শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতেই কাইউমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।