প্রেমিকের ফাঁ’দে পরে স’র্বস্ব হা’ড়িয়ে গ্রাম ছা’ড়া গৃ’হবধু

| আপডেট :  ১১ এপ্রিল ২০২১, ০৩:০৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ এপ্রিল ২০২১, ০২:৫৬ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজে’লার ৩নং বন্দবেড় ইউনিয়নের বাইটকামারী গ্রামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর লা’লসার স্বী’কার হয়েছেন এক গৃ’হবধু। বিয়ের প্র’লোভন দেখিয়ে স্বা’মিকে তা’লা’ক, অ’নৈতিক ক’র্মকান্ড, অ’ন্তরঙ্গ মূ’হুর্তের আ’পত্তিকর মোবাইলে ছবি ধারণ, মোটা অ’ঙ্কের অর্থ হা’তিয়ে অত:পর আ’পত্তিকর ছবি ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে এক গৃ’হবুধুকে।

অ’সহায় হয়ে বি’চারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সেই গৃ’হবধূ। গত ২০ দিন যাবৎ পাশের গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই গৃহবধু। এনিয়ে ওই এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বাইটকামারী গ্রামের আবু তাহেরের ল’ম্পট ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী বাছেদ মিয়া(৩২) একই এলাকার আবু হানিফের বিবাহিত মেয়ের সাথে বিয়ের প্র’লোভন দেখিয়ে প্রে’মের স’ম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের এই প্রেমের সম্পর্কের কথা বাইটকামারী বাজারের প্রায় সব দোকানিই জানেন। তাদের অনেকেই বলেন, বাছেদ ওই মেয়েটার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করা মোটেই ঠিক করেনি। অনেকে আরও জানান, এর আগেও বাছেদের না’রী কে’লেং’কারীর ঘটনা ঘটেছে সামাজিক ভাবে বিচার শা’লিসও হয়েছে।

উপজে’লার প্রত্যন্ত বাগুয়ার চরের এক বাড়িতে আশ্রয়ে থাকা নি’র্যাতিতা ওই নারী জানান, আমার প্রথম বিয়ে হয় বাইটকামারী গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়ার সাথে। সেখানে সংসার চলাকালিন সময়ে বাইটকামারী বাজারে জামা-কাপড় কেনাকা’টা করা হয় বাছেদের দোকানে। সেই সুবাদে হঠাৎ একদিন বিকালে সুযোগ বুঝে আমার শশুর বাড়িতে গিয়ে আমাকে আচমকা জাপটে ধরে ধ”ণ করার চেষ্টা করে বাছেদ। এসময় আমার ভাশুর বাড়িতে আসলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পা’লিয়ে যায় সে। তাকে দ্রুত সটকে পড়তে দেখে আমাকে স’ন্দেহ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এই সূত্রধরে আমাকে তা’লা’ক দেয় আমার স্বামি। এর কিছু দিন পর আমার দ্বিতীয় বিয়ে হয় রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাওয়ার গ্রামের সোনাউল্লাহ মিয়ার ছেলে আজগর আলীর সাথে। আজগর আলী ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরী করার কারণে বেশী সময় আমাকে বাবার বাড়িতে থাকতে হতো। এমতাবস্তায় বাছেদ আবার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

আমি তার অসৎ উদ্দেশ বুজতে নাপেয়ে তার প্রেমের ফাঁ’দে পা দেই। তার পরার্মশ মোতাবেক প্রথমে আমি আমার স্বামিকে তা’লা’ক দেই। পরে সে আমাকে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে নিয়ে আমার ইচ্ছার বি’রুদ্ধে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং মোবাইলে আ’পত্তিকর ছবি ওঠায়।

ওই নারী জানান, পরে আমি বিয়ে করার চা’প দিলে আমার কাছ থেকে দামি মোবাইল সেটসহ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি বিভিন্ন সময়ে আমার গহনা বিক্রি করে ৩টি এড্রুয়েট মোবাইল সেট ও ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বাছেদকে দেই। এর পরেও বাছেদ আমাকে বিয়ে না করে বিভিন্ন টালবাহা’না শুরু করে। এক পর্যায়ে সে আমাকে হু’মকি দিয়ে বলে বিয়ের চা’প দিলে তোমার সাথে তুলা সব আ’পত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিব এবং পরে তাই করে।

এ বি’ষয়ে ৩নং বন্দবেড় ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযু’দ্ধা আলহাজ আব্দুল কাদের বলেন, এবি’ষয়ে কেউ আমার কাছে অ’ভিযোগ করেনি। তবে শুনেছি উভ’য় পক্ষ আপোষ মিমাংসা করে নিয়েছে।

রৌমারী থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত থানার (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহর বলেন, ভু’ক্তভোগী ওই নারী গতকাল শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বা’দী হয়ে রৌমারী থানায় মা’মলা দা’য়ের করছে। আ’সামিকে গ্রে’ফতারের চেষ্টা চলছে।