নলছিটিতে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ সাবেক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

| আপডেট :  ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় কে.এম.আর তৌহিদ ও তার ভাই তৈফুর খানের বিরুদ্ধে সরকারি (খাস) জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, তৌহিদ খান একজন সাবেক ছাত্রদল নেতা। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় কোনো বাধা ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছামতো সরকরি (খাস) জমি দখল করছে। এছাড়াও জমি দখলদারিত্ব নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা প্রায়ত বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবিবের ভোগ দখলের জমিতেও অবৈধভাবে ঘর নির্মান করে তৌহিদ ও তার ভাই দখলদারিত্বের পায়তারা চালাচ্ছে বলে তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে সৈয়দ শাওন ইসলাম বাবু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুম্পা সিকদারের কাছে সরকারি খাস জায়গা দখলমুক্ত করতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ইউএনও অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে আমাদের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তৌহিদ ও তার ভাই তৈফুর উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র থানা সড়ক সংলগ্ন (শহীদ মিনারের বিপরীতে) জে.এল ৪৩, নলছিটি মৌজার ১ নম্বর খতিয়ানের এসএ ১১৬৫ ও ১১৬৬ দাগের প্রায় ৮০ শতাংশ জমি দখল করেছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ও সাধারণ জনগণ অনেকবার বারণ করলেও তৌহিদ ও তার ভাই কারো কথা তোয়াক্কা করেনি।

ওই মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শফিকুল আহসান ইমন অভিযোগ করে বলেন, সরকার থেকে ইজারাবাবদ আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবিব এসএ ১১৬৪ দাগের জমিটি ১৯৮০ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছিলেন৷ সেখানে আমাদের ঘর এবং দোকান ভাড়া দেয়া আছে এবং পিছনের জমিতে গাছ লাগানো ছিলো৷ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তৌহিদ খান এবং তার ভাই তৈফুর খান আমাদের ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়৷ পরবর্তীতে আমরা এ ব্যাপারটা জানতে পারলে জমিটি নিয়ে চলমান আমরা সরকার পক্ষের উকিলকে অবগত করি৷ এরপর থেকে তারা প্রায়ই ভুয়া রায় পাবার কথাসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের ভাড়াটিয়াদের নেমে যেতে বলেন৷

শফিকুল আহসান আরও বলেন, উপজেলার থানা পুলিশ মিমাংসার জন্য তাদের ডাকেন কিন্তু তারা নানা কারন দেখিয়ে বিষয়টা পিছানোর চেস্টা করে৷ একটা সময় এব্যাপারে থানায় বসা হলে তাদের পক্ষ থেকে তৌহিদ খান এবং একজন উকিল উপস্থিত হলেও জমি তাদের এমন সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য উপস্থাপনে ব্যর্থ হন৷ এবং সবার সামনে ক্ষমা চেয়ে চলে যান৷ এরপরও তারা আমাদের পরিবারকে নানা ভাবে হেনস্থা করার চেস্টা করছেন এবং ভাড়াটিয়াদের নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন৷

কে.এম.আর তৌহিদ এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে বলেন, আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। জমির ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

নলছিটি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, দুই পক্ষই দখলদারিত্বের দাবি করে। আদালতে যেহেতু মামলা চলমান, তাই উভয় পক্ষকে ডেকে আদালতের মাধ্যমে ফয়সালা করার কথা জানিয়েছি। দুই পক্ষকেই শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে বলেছি, যাতে ফৌজদারি অপরাধ হয় এমন কর্মকান্ডে কেউ না জড়ায়।