‘সাদা জামা পরে, মাওলানা হলেই বড় মানুষ হয়না’

| আপডেট :  ১১ এপ্রিল ২০২১, ০২:১৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ এপ্রিল ২০২১, ০২:১৩ পূর্বাহ্ণ

২০১৮ সালের ১০ আগষ্ট খুলনার মাদ্রাসা শিক্ষক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় জান্নাত আরা ঝর্নার। সংসারে তখন দুই ছেলে। কিছুদিন বাবার বাড়িতে থাকার পর হেফাজত নেতা মামুনুল হকের জিম্মায় অবিবাহিতা উল্লেখ করে ঢাকার নর্থ সার্কুলার সড়কের একটির বাড়ির চতুর্থ তলায় সাবলেট ভাড়া নেন জান্নাত।

২০১৮ সালের আগষ্ট মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত জান্নাতের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা তিনি উল্লেখ করেন তিনটি ডাইরিতে। প্রথম ডাইরিতে জান্নাত লিখেছেন , ‘আমাকে নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই, শরীরের দাবিদার আছে।’ এরপর লিখেছেন, ‘মামুন সাহেব আমার শরীরটা কিনেছে কেনো আল্লাহ’ সব জেনে মামুন সাহেব যা করেছেন আমি শুধু তার টাকা ফেরত দিতে চাই,. আল্লাহ কবুল করো।’

দ্বিতীয় ডাইরিতে জান্নাত লিখেছেন, ‘আমার প্রতি কখনো কারো মায়া জন্মায়নি। শুধু প্রেমে পড়ে ছিলো, কেউ কখন সত্যিকারে ভালোবাসেনি। আমাদের সাথে শুধু প্রেম হয়েছিলো। কোনো ভালোবাসা ছিলো না, ছিলো শুধু ক্ষণিকের আবদার পূরণের আমেজ।’

দ্বিতীয় ডাইরির শেষ পাতায় লিখেছেন, এম, ২০/০২/১৯, এগ্রিম্যান্ট স্টার্ট। এই সংক্ষিপ্ত লেখার ব্যাখা তৃতীয় ডাইরিতে দেন জান্নাত। সেখানে লিখেন, স্বপ্নে দেখলাম হেল্প চাচ্ছি। বাট সে হাতটা বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরেছে। ভাবছিলাম ঘুমের মাঝে বিয়ে না করে জড়িয়ে কোনো ধরেছে?‘এবার বাস্তবতা শুরু ঠিক ফেব্রুয়ারির ১৯ বা বিশ হবে এখন চলছে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি তাকে খুব ঘৃণা করি। আবার কখনো মনে হয় ভালবাসি, তবে হ্যা আমার লাইফটা নরক বানিয়ে ফেলেছে।’

‘এরপর জান্নাত লিখেছেন, সাদা সাদা জামা পড়লে আর বড় মাওলানা হলেই মানুষ হয়না। মুখোশধারিও হয়। মামুন সাহেব আমার শরীরটা কিনেছে কেন আল্লাহ’?

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি জান্নাত লিখেছেন, ‘টাকা দিয়ে আমার দেহ কিনেছিলেন। আজ আপনার টাকা আমি ফেরত দিতে চাই। শুধু আমার সময় ফেরত চাই। কেনো করেছিলেন এমন। আপনার অনেক টাকা ছিলো, পাওয়ার ছিলো তাই?’

অর্থাৎ দুই বছর আগে মামুনুল বিয়ের কথা বললেও গণমাধ্যমের কাছে আসা জান্নাতের তিনটি ডাইরির তথ্য বলছে, এ বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের বিয়ে হয়নি।

শহীদুল ও জান্নাত দম্পতির বড় সন্তান আব্দুর রহমান জামি জানান, শেষ যখন খুলনায় তার মা আসেন তখন এই ডাইরির কথা তাকে জানায়। তিনি বলেন, মা লিখেছেন আমার জীবনে ঘৃনিত ব্যক্তি হলো মামুন।