রো’গীর পেটে র’ক্তমা’খা কা’পড় রেখেই সেলাই করে দিল ডাক্তার !

| আপডেট :  ৩১ মার্চ ২০২১, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ মার্চ ২০২১, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

পেটের মধ্যে র’ক্ত পরিস্কার করা (মফস) কাপড় রেখেই এক সি’জারিয়ান রো’গীর পেট সেলাই করেছে ডাঃ আনিছুর রহমান নামে এক চি’কিৎসক। কোটচাঁদপুর শহরের সিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। সি’জারের ৮ দিনের মাথায় ঝিনাইদহ শহরের আল-আমিন ক্লিনিকে আবার দ্বিতীয় দফা অ’পারেশন করে ওই রো’গীর পেটের মধ্যে থাকা র’ক্তমা’খা কাপড় বের করা হয়। এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। রো’গীর স্বজনরা চি’কিৎসকের বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজে’লার চোরকোল গ্রামের পিকুলের স’ন্তানসম্ভবা মেয়ে রুনা খাতুন সিজারের জন্য ভর্তি হয় কোটচাঁদপুর শহরের সিটি ক্লিনিকে। গত ২০ মার্চ সেখানে সিজার করেন জীবননগরের (আদি বাড়ি মাগুরা) চি’কিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান। সিজারের সময় রো’গীর পে’টের মধ্যে মফস রেখে সেলাই করা হয়।

রো’গীর খালু বাবু মিয় জানান, কিছুদিন পর রো’গীর অবস্থা খা’রাপ হয়ে পড়লে ঝিনাইদহ শহরের সমতা ক্লিনিকে ডাঃ সোহেল আহম্ম’দের দিয়ে আলট্রাসনো করা হয়। রিপোর্টে পেটের মধ্যে কাপড়ের অস্তিত্ব মেলে। দ্রুত রুনা খাতুনকে শহরের হাম’দহ এলাকার আল-আমিন ক্’লিনিকে ভর্তি করা হয়।

গত ২৮ মার্চ রো’গীকে দ্বিতীয় দফায় অ’পারেশন করেন ডাঃ জাহিদ। গৃহবধু রুনা খাতুনের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে হলেও মাত্র ৮ দিনের ব্যবধানে দুইবার অ’পারেশন করায় আর্থিক ও রো’গীর শ’রীরের ক্ষ’তির বি’ষয়টি বিবেচ্য হয়ে দাড়িয়েছি।

বি’ষয়টি নিয়ে ডাঃ জাহিদ জানান, রো’গীর পেট থেকে র”ক্ত পু’জ ও ম’ফস জাতীয় জিনিস বের করা হয়। তবে রো’গী এখন সু’স্থ। তিনি বলেন, চি’কিৎসকদের আরো স’তর্ক ও স’চেতন না হলে রো’গীর জী’বন বি’পন্ন হতে পারে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর সিটি ক্লিনিকের মালিক জাহাঙ্গীর জানান, ডাক্তাররা তো অপারেশন করেই খালাস। কিন্তু ভু’ল চি’কিৎসার পেক্ষিতে পরবর্তী ঝামেলা তো ক্লিনিক মালিকদেরই পোহাতে হয়। তিনি বলেন ক্লিনিকের পক্ষ থেকে রো’গীকে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। তবে ভু’ল চি’কিৎসার চি’কিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। অফিস বন্ধ থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তিনি বলেন আগে ডাঃ ফাহিম উদ্দীন ও ডাঃ সোহলে রানা নামে দুই চি’কিৎসকের বি’রু’দ্ধে ব্য’বস্থা নিয়েছি। এরা হাটেবাজারে গজিয়ে ওঠা অ’বৈধ ক্লিনিকে অ’পারেশন করে রো’গীর জী’বনকে ঝু’কির মধ্যে ফে’লে দিচ্ছিল। তারা চলে যাওয়ায় হয়তো ডাঃ আনিছ তাদের স্থান দ’খল করেছে।

সিভিল সার্জন বলেন, দা’য়ী চি’কিৎসক ও ক্লি’নিকের বি’রু’দ্ধে ব্’যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য কোটচাঁদপুরের সিটি ক্লিনিক সিভিল সার্জন অফিসের বন্ধ তালিকায় থাকলেও র’হস্যজনক কারণে তা আবার চালু করা হয়েছে।