নারীর সাথে বিশেষ মু’হূর্তে জনতার হাতে আ’টক আওয়ামীলীগ নেতা : গণপি’টু’নি

| আপডেট :  ২৪ মার্চ ২০২১, ০১:০৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ মার্চ ২০২১, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজে’লার এক আওয়ামীলীগ নেতা আ’প’ত্তিরকর অবস্থায় বি’শেষ মু’হূর্তে নারীসহ জনতার কাছে হা’তেনাতে ধরা পরেছেন। ওই নেতার নাম আতাউর রহমান উকিল। তিনি চরসাদীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ঘটনাটি সোমবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পার্শ্ববর্তী জে’লা পাবনার সদর উপজে’লার দোগাছি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রহমান মেড় সংলগ্ন তাইজাল মিস্ত্রির বাড়িতে ঘটেছে। এসময় উপস্থিত উৎসুক জনতা নেতা ও ধৃ’ত না’রীকে গণপি’টুনি দেন এবং ঘটনার ছয় ঘণ্টা পরে রাত ৩ টার দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সালিশে দুই লাখ টাকা জ’রিমানা করে ল’ম্পট আওয়ামীলীগ নেতা ও ম’হিলাকে ছে’ড়ে দেন চেয়ারম্যান।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে পাবনা সদর উপজে’লার দোগাছি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রহমান মোড় সংলগ্ন তাইজাল মি’স্ত্রির পু’ত্রবধূ ও বিপুলের স্ত্রী লা’বনী’র সাথে চরসাদীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাক আতাউর রহমান উকিলের সাথে অ’বৈধ প্রে’মের স’ম্পর্ক চলে আসছিল। লাবনীর স্বা’মী জীবিকার তাগিদে জে’লার বাইরে থাকায় নিয়মিত তাদের গো’পনে দেখা, সাক্ষাৎ ও অ’বৈধ শা’রী’রিক স’ম্পর্ক হয়।

এরই জের ধরে আজ সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে লাবনীর ঘরে আসে আওয়ামীলীগ নেতা উকিল। ঘরে ঢোকার বি’ষয়টি বুঝতে পেরে লাবনীর শ্ব’শুর বাড়ী ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আ’পত্তিকর অবস্থায় দুইজনকেই আ’টক করে। এসময় উপস্থিত জনতা ধৃ’তদের গণপি’টুনি শেষে দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী হাসান কে খবর দেন।

পরে চেয়ারম্যান বাংলাবাজারের নিজ অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সালিশে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে দুইজনকেই নিজ নিজ অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন।

এবিয়ষে সালিশে উপস্থিত থাকা লাবনীর প্রতিবেশী আব্দুর রহমান বলেন, তিন চার বছর ধরে উকিল যাওয়া আসা করত।সোমবার রাতে আসলে আমরা হা’তেনাতে ধরি। পরে জনগণ মা’রধ’র করে দোগাছি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান সাহেব দুই লাখ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেই।

এবি’ষয়ে জানতে দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হাসানকে ফোন দেওয়া হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে বলেন, চেয়ারম্যান ব্যস্ত আছে, পরে কথা বলবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চরসাদীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জে’ল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, দুই বছর ধরে অ’বৈধ প্রে’মের স’ম্পর্কের জেরে প্রে’মিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে সাধারণ সম্পাদক জনতার কাছে হা’তেনাতে ধ’রা পড়ে মা’র খেয়েছে।

পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কোনমতে রেহায় পেয়েছেন। বি’ষয়টি অত্যন্ত ল’জ্জাস্কর ও দলের জন্য দুঃ’খজনক। তিনি আরো বলেন, এঘটনায় তার বি’রুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রঃ বাংলাদেশ টুডে