২৮ স্বা’মীকে তা’লা’ক দেয়া স্বর্ণাকে বিয়ের কথা শুনে ঘর ছা’ড়েন কামরুলের আগের স্ত্রী

| আপডেট :  ১৪ মার্চ ২০২১, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ মার্চ ২০২১, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বিয়ের নামে প্র’তারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হা’তিয়ে নেওয়ার মা’মলায় পুলিশের হাতে গ্রে’প্তার হয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা। স্বর্ণার সাবেক স্বামী ভু’ক্তভো’গী সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম জুয়েল বৃহস্পতিবার মোহাম্ম’দপুর থানায় এই মা’ম’লা করেন। পরে ওইদিন বিকেলেই পুলিশ রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকা থেকে রোমানাকে গ্রে’প্তার করে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-স’মালোচনা।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে সৌদি প্রবাসী কামরুলের সঙ্গে স্বর্ণার পরিচয় হয়। পরে ফেসবুকে কথোপকথন। ২০১৯ সালের মার্চে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর কামরুল সৌদি আরবে চলে যান। গাড়ি, ব্যবসা, ফ্ল্যাট কেনাসহ নানা অজুহাতে তার কাছ থেকে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা হা’তিয়ে নেন স্বর্ণা। সম্প্রতি কামরুল দেশে আসেন এবং স্বর্ণার বাসায় যান। এ সময় স্বর্ণা জানিয়ে দেন, তাকে অনেক আগেই তিনি তা’লা’ক দিয়েছেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হ’ 0’ত্যার হু’ম’কি দেওয়া হয় কামরুলকে।

প্রবাসী কামরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, স্বর্ণার ব্যবহৃত মোবাইল, ঘড়ি, গাড়ি সবই আমার কিনে দেওয়া। সে যে দামি গাড়িতে চড়ছে ওটা আমার। তার হাতে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ঘড়িও আমার দেওয়া। হাতে থাকা দু’টো আইফোন প্রো মোবাইল ফোনও আমি কিনে দিয়েছি। সবমিলিয়ে আমার থেকে আড়াই কোটি টাকা হা’তিয়ে নিয়েছে স্বর্ণা।

তিনি বলেন, এরপর মোহাম্ম’দপুর থানায় আমার নামে জি’ডি করে আমাকে ডি’ভোর্স দিয়েছে বলে জানায় স্বর্ণা। কিন্তু বি’ষয়টি মি’থ্যা। সে ডি’ভো’র্স দেয়নি। আমি এমন কোনো পেপার পাইনি। অবশেষে আমি আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

কামরুল আরও বলেন, দেশে আসার পর স্বর্ণার বাসায় গেলে আমাকে কিছুদিন আ’ট’কে রাখে তারা। অথচ স্বর্ণাকে বিয়ে করার কথা শোনার পর আমার আগের স্ত্রী আমাকে ছে’ড়ে চলে গেছে।

উল্লেখ্য, বিয়ের নামে প্র’তারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হা’তিয়ে নেওয়ার মা’মলায় গ্রে’প্তার স্বর্ণাসহ তিনজনকে একদিনের জন্য জে’লগে’টে জি’জ্ঞাসাবাদের নি’র্দেশ দিয়েছেন আ’দালত। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শুক্রবার রি’মা’ন্ড ও জা’মিন না মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ জি’জ্ঞাসাবাদ শেষ করতে হবে। মা’ম’লার অপর দুই আ’সামি হলেন- আশরাফি আক্তার শেলী এবং আন্নাফি ইউসুফ ওরফে আনান।

এদিন মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা মোহাম্ম’দপুর থানার পরিদর্শক দুলাল হোসেন তিনজনের ৫ দিন করে রি’মান্ড আবেদন করেন। এ সময় আ’সামিপক্ষের আইনজীবী রি’মান্ড বা’তিল চেয়ে জা’মিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের রি’মান্ড ও জা’মিন আবেদন না’কচ করে আ’সামিদের একদিনের জন্য জে’লগেটে জি’জ্ঞাসাবাদের নি’র্দেশ দেন।