স্বপ্নের পাকা ঘরে ওঠার আগেই পুরো পরিবার নিয়ে যেতে হলো কবরে

| আপডেট :  ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৪০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৪০ অপরাহ্ণ

মালয়েশিয়ায় আট বছরের প্রবাস জীবনের সবটুকু সম্বল দিয়ে পাকা বাড়ি বানিয়েছে নিজাম। আগামী শুক্রবার কাঁচা ঘর ছেড়ে স্ত্রী-স’ন্তান নিয়ে সেই নতুন ঘরে ওঠার কথা ছিল তার। তবে চার দিন আগে সোমবার রাতে স্ত্রী সাথি আক্তার ও মেয়ে লিজা আক্তারসহ (৪) মা’রা গেছেন নিজাম উদ্দীন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার মজুম’দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) গভীর রাতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজে’লার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বি’ষয়ে হেসাখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুম’দার বলেন, নি’হত নেজাম ২ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেছিলেন। আগামী শুক্রবার ওই ঘরে তাদের ওঠার কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নি’র্মম পরিহাসে সেই ঘরে ওঠার আগেই পরিবার নিয়ে দুনিয়া ছাড়লেন। এটি অত্যন্ত দুঃ’খজনক। আল্লাহ যেন তাদের জান্নাত নছিব করেন এই দোয়াই রইলো।

নিজাম উদ্দীনের ভাতিজা আবদুর রহমান বলেন, কাকা মাত্র একমাস আগেই মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। প্রায় আট বছর মালয়েশিয়া ছিলেন তিনি। এবার দেশে এসে পাকা ঘরের কাজ ধরেছিলেন। মাত্র সাত দিন পর কাজ শেষ হয়ে যেতো। আর চার দিনের মধ্যে ভেতরের একটা রুমে ওঠার কথা ছিল চাচার। কিন্তু সোমবার রাতে ঝড়ের মাঝে সবশেষ হয়ে গেছে।

বি’ষয়টি নিশ্চিত করে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, সোমবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলেন মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে আসা নেজাম, তার স্ত্রী সাথী ও মেয়ে নুসরাত। রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ঝড়ে কড়ই গাছ উপড়ে তাদের ঘরের ও’পর পড়ে। এতে চা’পা পড়ে তারা গু’রুতর আ’হত হন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা গিয়ে করাত দিয়ে গাছটি কে’টে তাদের উ’দ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃ’ত ঘোষণা করেন।

এ বি’ষয়ে নাঙ্গলকোট উপজে’লা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মেহবুব বলেন, সোমবার রাতে একই পরিবারের তিন জনের মৃ’ত্যুর ঘটনাটি খুবই দুঃ’খজনক। তাদের পরিবারের জন্য স’রকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।