তিন ছেলে পু’লিশ অফিসার তবু ভি’ক্ষা করতে হচ্ছে বৃ’দ্ধ মাকে

| আপডেট :  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

একজন মায়ের শ্রেষ্ঠ অর্জন তার স’ন্তানেরা। সারাজীবনের সমস্ত প্রা’প্তি আর শ্রম দিয়ে মা তার স’ন্তানদের মানুষ করেন। কিন্তু জীবনের নি’র্মম পরিহাসে অনেক সময় এই ‘মানুষ’ হওয়া স’ন্তানের আচরণও অ’মানবিক হয়ে উঠে।

গল্পটি এমনই এক মায়ের। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজে’লার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের এক দুঃ’খিনী মা’য়ের জী’বনের নিয়ত সং’গ্রামের, টিকে থাকার গল্প এটি। মনোয়ারা বেগম আর আইয়ুব আলীর টা’নাপোড়েনের সংসারে অভাব নিয়মিত মেহমান হলেও ঠিকঠাক চলেই যাচ্ছিল ৬ স’ন্তানের এই প’রিবারটি। কৃষক আইয়ুব আলী সাধ্যমত তার সকল স’ন্তানকে মানুষ করার চেষ্টা করেন।

আইয়ুব আলী-মনোয়ারা দম্পতির ছয় স’ন্তানের মধ্যে তিন ছে’লে- ফারুক হোসেন, নেছার এবং জসীম উদ্দিন পু’লিশে কর্মরত। মে’য়ে মরিয়ম সুলতানা আছেন শিক্ষকতা পেশায়। বাকি দুই স’ন্তান শাহাবউদ্দিন করেন ব্যবসা আর গিয়াস উদ্দিন ইজি বাইক চা’লিয়ে ভালোই আছেন। প’রিহাসের বি’ষয়, এতগুলো স’ন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করেও এই মাকে আজ জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে ভিক্ষা করে।

তিন ছেলে পু’লিশ কর্মকর্তা, মে’য়ে স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা অথচ সেই মাকেই কিনা জীবন বাঁচাতে ঘুরতে হচ্ছে মানুষের দ্বারে দ্বারে। দিনে এক বেলাও ঠিকমতো ভাগ্যে জুটছে না ভাত।বৃ’দ্ধা মনোয়ারা বেগমের

ব’য়স হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পর্যন্ত পারেন না। তারও’পর গত ৪-৫ মাস আগে ভিক্ষা করতে গিয়ে পড়ে কোম’রের হাড় ভেঙ্গে যায়।সেই থেকে বাবুগঞ্জের স্টিল ব্রিজের পাশে একটি খুপরি ঘরে বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে বেঁচে আছেন। নিঃস্ব, অ’সহায়, মূক। মনোয়ারা বেগমের ইজি বাইক চালক ছেলে গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘আমার সাধ্য মত মাকে চিকিৎসা দেবার চেষ্টার করছি।

এখন আমিও সহায় সম্বলহীন তাই বৃ’দ্ধ মা আজ বিনা চিকিৎসায় মৃ’ত্যু পথযাত্রী। আমার তিন ভাই পু’লিশ অফিসার। তারা তাদের স্ত্রী স’ন্তান নিয়ে অন্যত্র থাকে। মায়ের কোন খোঁজ খবর নেয় না।’