মূল পরিকল্পনাকারী মেয়ে, ‘অন্তর্ধানের পুরোটাই নাটক!’

| আপডেট :  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ

খুলনায় রহিমা বেগমের অন্তর্ধান পুরোটাই পরিকল্পিত। জমিজমা নিয়ে বি’রোধের জেরে প্রতিপক্ষ ফাঁ’সাতেই এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারী মেয়ে মরিয়ম মান্নান; এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। আরও জানানো হয়, অন্তর্ধান নাটকের ব্যাপারে জানতো বাকি মেয়েরাও।

ঘটনার পর থেকে লা’পা’ত্তা পরিবারের সব সদস্যরা। গত রাতে ফরিদপুর থেকে অক্ষ’ত অবস্থায় রহিমাকে উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর তাকে রাখা হয় সোনাডাঙ্গা থানার ‘ভি’কটিম সাপোর্ট সেন্টারে’। এরপর তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে পিবিআইয়ের কাছে।

খুলনা নগরীর পাবলা এলাকার রহিমা বেগমের সন্ধান মিলছিল না গত ২৭ আগস্ট থেকে তার। সম্প্রতি ময়মনসিংহে পাওয়া অ’জ্ঞাত এক ম’রদেহকে নিজের মা বলে দাবি করেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। অবশেষে অক্ষ’ত অবস্থায় উ’দ্ধার হলেন সেই রহিমা বেগম।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামে পাওয়া যায় তাকে। পুলিশ বলছে, প্রথমে চট্টগ্রাম, পরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর হয়ে এখানে আসেন তিনি। যে বাসায় ছিলেন, সেই পরিবারটি এক সময় খুলনায় রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

কেএমপির ডেপুটি কমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ১৭ তাকে রহিমা বেগম আকস্মিকভাবে ফরিদপুরের বাড়িটিতে গিয়ে হাজির হয়। তারাও তাকে চিনতে পেরে বুকে জড়িয়ে ধরে। তাকে অনেক সেবাযত্ন করে। তাকে জীবিত উ’দ্ধার করতে সমর্থ হওয়ায় আমরা খুশি।

ফরিদপুর থেকে রাতেই খুলনায় নেয়া হয় রহিমা খাতুনকে। এ ঘটনায় জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য ফরিদপুরের সেই বাড়ির মালিকসহ ৩ জনকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। কেএমপির ডেপুটি কমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা ছায়া ত’দন্ত করছিলাম ভি’কটিমকে উ’দ্ধার করার জন্য।

আমরা আমাদের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। পিবিআই ত’দন্ত করবে। আমাদের যদি ডাকা হয় তবে কাজ করবো। তার পাশাপাশি ছায়া ত’দন্ত করতে থাকবো।