ওসি হয়ে বিয়ে করবেন বলে গৃহবধূর টাকা-ইজ্জত দুটোই নিলেন কন্সটেবল

| আপডেট :  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ

‘ওসি হয়ে বিয়ে করবেন’ এমন প্রলোভন দেখিয়ে ধ”ণ এবং ১০ লাখ টাকা আত্নসাতের অ’ভিযোগে তারিকুল ইসলাম রাজিব (৩০) নামের এক পুলিশের বি’রুদ্ধে আ’দালতে মা’মলা করেছেন ভু’ক্তভোগী এক গৃ’হবধূ। আ’দালত মা’মলা আমলে নিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারকে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুানাল-৪ এর বিচারক মো. জমিউল হায়দারের আ’দালত এ আদেশ দেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) আ’দালতে মা’মলার আবেদন করা হয়। অ’ভিযুক্ত কনস্টেবল পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ রানিপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে তারিকুল ইসলাম রাজিব (৩০)। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের মালখানা শাখায় জে’লা পুলিশে কর্মরত।

মা’মলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল তারিকুল ইসলাম রাজিব চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের মালখানায় বদলি হয়ে আসার পর ভু’ক্তভোগী নারীর বায়েজিদ এলাকার বাসায় আত্মীয়ের মাধ্যমে সাবলেট উঠেন। বাসায় ভু’ক্তভোগী নারী স্বামী-স’ন্তানসহ বসবাস করতেন। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সাবলেট থাকা অবস্থায় তারিকুল ওই নারীকে ভু’লিয়ে স্বামীর অবর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গিয়ে ছবি ও ভিডিও করেন এবং তিনি ওসি হলে তাকে বিয়ে করার আশ্বাসও দেন।

এভাবে তাদের দুজনের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরে বাসায় ই’য়াবাসহ নানা ধরনের মা’দক সেবনসহ বিক্রি করছিলেন কনস্টেবল তারিকুল। এসব অ’নৈতিক কাজে ভু’ক্তভোগী নারী বা’ধা দিলে তিনি ক্ষি’প্ত হয়ে চুপ থাকতে বলেন। এর মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভু’ক্তভোগী নারীকে শা’রীরিক সম্পর্ক করতে চা’পও দেন তারিকুল। পরে স্বামী-স’ন্তান বাসায় না থাকার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে শা’রীরিক সম্পর্ক করেন তারিকুল। এসময় অজান্তে ওই নারীর বিভিন্ন গো’পন ছবি এবং ভিডিও ধারণ করা হয়।

এদিকে তারিকুল ওসি পদে পদোন্নতির কথা বলে ভু’ক্তভোগী নারীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকা আ’ত্মসাৎ করেন। এরপর গো’পনে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের ভ’য় দেখিয়ে আরও টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তারিকুলের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর বিভিন্ন সময় ফোনে ভু’ক্তভোগী নারীকে শা’রীরিক সম্পর্ক করতে চা’প দিতে থাকেন তারিকুল।

গত ৪ আগস্ট স্বামী-স’ন্তান বাসায় না থাকার সুযোগে তারিকুল ব্ল্যা’কমেইলিং করে ভু’ক্তভোগী নারীকে আবারও শা’রীরিক সম্পর্কে জড়াতে বা’ধ্য করেন। তারিকুল বেরিয়ে যাওয়ার সময় এসব বি’ষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিলে ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ খু’ন করার হু’মকি দেন ভু’ক্তভোগী নারীকে।

এ সময় তারিকুলকে রাগান্বিতভাবে বেরিয়ে যেতে দেখে বাসার দারোয়ান ওই নারীর কাছে কী হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সব খুলে বলেন। পরে স্বামী-আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করে বায়েজিদ থানায় মা’মলা করতে গেলে তারা আ’দালতে মা’মলা করার পরামর্শ দেন। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর আ’দালতে মা’মলার আবেদন করা হয় এবং গত ১৮ সেপ্টেম্বর মা’মলা গ্রহণ করেন আ’দালত।

এ বি’ষয়ে ভু’ক্তভোগী নারী বলেন, কনস্টেবল তারিকুল আমাকে ফাঁ’দে ফে’লে এসব কাজ করিয়েছেন এবং প্র’তারণা করে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আ’ত্মসাৎ করেছেন। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) তার আরেক বন্ধুকে দিয়ে ফোনে আমাকে হ’’ত্যার হু’মকি দেন। বর্তমানে আমি পরিবারসহ নি’রাপত্তাহীনতায় ভু’গছি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি চাই।