গাইবান্ধায় প্রতিদিন আধা লিটার দিচ্ছে পাঁঠা!

| আপডেট :  ৩০ আগস্ট ২০২২, ০২:৩৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ আগস্ট ২০২২, ০২:৩৭ অপরাহ্ণ

প্রতিনিয়ত কত বিচিত্র ঘটনাই না ঘটতে দেখা যায় চারদিকে। কিন্তু একেবারেই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধায়। সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নে দুধ দিচ্ছে একটি পাঁঠা। তাও দিনে আধা লিটার করে।

এদিকে বিষয়টি অলৌকিক মনে করছেন স্থানীয়রা। পাঁঠাটিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে মানুষ। গাইবান্ধা প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে তাদের কাছে নতুন বলে জানিয়েছে। জেনিটিক্যালি এনামেলিস হরোমনজনিত ত্রুটির কারণে এমন হতে পারে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গরু ব্যবসায়ী মোনারুলের ক্রয়কৃত ছাগল পাঠাটি দেখতে ভিড় করছে মানুষ। উপস্থিত জনতার সামনে মালিক পাঁঠার বাট থেকে প্রায় আধা লিটার দুধ দোহন করেও দেখালেন।

স্থানীয়রা জানান, তারাও প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাননি। পরে নিজ চোখে দেখার পর বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছেন। পাঁঠাটির দুধ পান করেছেন এমন একজন জানান, দেখতে গাভির দুধের মতো। খেতেও সুস্বাদু।

পাঁঠার মালিক মোনারুল ইসলাম বলেন, ব্যবসার কাজে তিনি একবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে গিয়েছিপেন। সেখানে পথের ধারে এক বৃদ্ধার কাছে পাঁঠাটিকে দেখতে পান। পরে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে পাঁঠাটি কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

তিনি জানান, কেনার পর দেখত পান যে তার তার পাঠাটির সামনে দুইটি দুধের বাট এবং বাটের পিছনে দুইটি অন্ডকোষ রয়েছে। এর পরে মোনারুল তার পাঠাটির খেয়াল করে দেখে পাঠাটি খুব ছটফট করেছে। পাঠাটির ছটফটি দেখে মোনারুল দুধের বাটে চাপ দিলে বাট দিয়ে দুধ আশা শুরু করে এতে মানারুল অবাক হয়ে যায়।

মোনারুল জানান, পাঁঠাটি প্রতিদিন আধা লিটার করে দুধ দেয়। আবার এটা দিয়ে স্ত্রী ছাগলদের বীজও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান বলেন, পাঁঠা দুধ দেয় বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। এটি জেনিটিক্যালি এনামেলিস হরোমনজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে।

পাঁঠাটি বীজ দেওয়ার কাজে ব্যবহার এবং একইসঙ্গে দুধ দেওয়ার বিষয়টি একেবারে নতুন। তবে এ দুধ খাওয়ার উপযোগী কি না তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।