মা’নুষের ভিতরে কেন এত যৌ’ন কা’ম: পুলিশ সুপার আবিদা

| আপডেট :  ১১ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শি’ক্ষার্থী আনুশকা ধ”ণ ও হ’’ত্যার ঘটনায় চারদিকে প্র’তিবাদের ঝ’ড় বয়ে যাচ্ছে। স’হপাঠীকে হা’রিয়ে শো’কে কাতর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শি’ক্ষার্থীরা। এ ধ”ণ ও ম’র্মা’ন্তিক হ’’ত্যা না’ড়া দিয়েছে সমাজের বি’বেককে। যে যার জায়গা থেকে প্র’তিবাদ জানাচ্ছেন। তেমনিভাবে ধ”ণের প্র’তিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সু’পার (এস’পি) আবিদা সুলতানা।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দেওয়া আবিদা সুলতানার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো: রাতে একজন মা’য়ের অনুভূতি কেমন হয়, যদি আদরের স’ন্তানকে অন্যের লা’ল’সার ব’লি হ‌তে দেখতে হয়!! মানুষের ভিতরে কেন এমন প’শুর প্র’বৃত্তি? কেন এত যৌ”ন কা’ম? এর শেষ কোথায়?

পঞ্চান্ন/ষাট বছরের প্রবীণ,‌ হাড্ডী ক’ঙ্কালসার পনের ষো’ল বছরের প্র’তিব’ন্ধীকে তখন ধ”ণ করে তখন তাকে কী বলা যায়? ??
আবার এমন আ’চরণের জন‌ অনু’শোচনার লে’শমাত্র নেই। বক্তব্য.. আমার ভা’তিজিকে আমি তো একটু আদর করতেই পারি!!!!
আহ্ !!! কী আ’জব!!

মা’য়ের চোখের অ’ঝোর শ্রাবণ আমাকে আ’হত করে!! কী করব?? কয়জন মা’কে স্ব’স্তি দিতে পারি আমরা? কী ছে’লে, কী মে’য়ে .. কখন কীভাবে কার লা’ল’সার শি’কার হবে বোঝা কি সম্ভব?

র’ক্তা’ক্ত ছোট্ট ছে’লেটিকে দেখে কী মা প্রথমে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার‌‌ই সহপাঠী বড় ক্লাসের ছে’লেটির শি’কার হতে হবে তার স’ন্তানকে এমন করে?? এমন অ’সুস্থতা কেন মা’নুষের মধ্যে?? এই অ’সভ্যতার শেষ কী করে হবে?

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কু’লের ‘ও’ লেভেলের ‘শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন। এরপর কি’শোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধ”ণ করা হয়। অ’সুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার ব’ন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান মে’ডিকেল কলেজ হা’সপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ক’র্তব্যরত চি’কিৎসক ছা’ত্রীকে মৃ’ত ঘো’ষণা করেন। ধ”ণের পর অতিরিক্ত র’ক্ত’ক্ষ’রণে তার মৃ’ত্যু হয় বলে জানান চি’কিৎসকরা। এ ঘটনার মা’ম’লায় দিহান গ্রে’ফতার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আ’দালতে জ’বানব’ন্দিও দিয়েছেন।

এ ঘটনায় আনুশকার বা’বা বা’দী হয়ে মা’মলা করেছেন। মা’মলার এ’জাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে আমার স্ত্রী ও আমি বের হয় হই। পরে আমার মে’য়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তার মাকে ফোন দিয়ে বলে সে কোচিংয়ের পেপার্স আনতে বাইরে যাচ্ছে।

দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আমার স্ত্রী’কে ফোন দিয়ে বলে আমার মে’য়ে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অ’চেতন হয়ে প’ড়ায় তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মে’ডিকেল কলেজ হা’সপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছে। এ কথা শুনে আমার স্ত্রী দুপুর ১টা ৫২ মিনিটের দিকে হা’সপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে ক’র্তব্যরত চি’কিৎসকের কাছে জানতে পারেন আমাদের মে’য়েকে ধ”ণ করে মে’রে ফে’লা হয়েছে।