মৃ’ত্যুর আগে ছেলেকে ফোনে যা বললেন কলেজশিক্ষক

| আপডেট :  ২০ আগস্ট ২০২২, ০৩:৩৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ আগস্ট ২০২২, ০৩:৩৮ অপরাহ্ণ

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজ শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছিল ছাত্র। তাদের বয়সের পার্থক্য ছিল ২৩ বছর। অসম প্রেম ও বিয়ের এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলো।

বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই শিক্ষিকা করেছে অত্যহ’’ত্যা। মৃ’ত্যুর আগের দিন রাতে শেষবারের মতো ছেলে সালমান নাফিস বৃন্তের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ছেলের সঙ্গে ৪০ সেকেন্ডের কথোপকথনে ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ার বি’ষয়টি জানান। এরপর ছেলে তার সৎবাবা মামুন হোসাইনের (২২) সঙ্গে বি’ষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এতে শেষ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।

বৃন্ত জানান, গত শনিবার (১৩ আগস্ট) ঘটনার দিন রাত ১১টার কিছু সময় আগে মাকে ফোন দেন। এ সময় মা জানান, তিনি দুই এমজি পাওয়ারের আটটি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছেন। এর বাইরে মা আর কথা বলতে পারেননি। এরপর সংযোগ কে’টে মামুনকে ফোন দেন বৃন্ত। এ সময় মামুন তাকে বলেন, দুই-চারটা কথা হলেই খায়রুন ঘুমের ট্যাবলেট খায়। বৃন্তকে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন মামুন। পরদিন সকালে মামুন তাকে ফোন দিয়ে আত্মহ’’ত্যার বি’ষয়টি জানান।

মা হা’রানো এই ছেলে দাবি করেছেন, মামুন যে কথাগুলো বলেছেন তা মি’থ্যা। মূলত তার মায়ের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কেনাসহ সব কিছুর জন্য টাকা নিতেন মামুন। এছাড়া সবসময় তার মাকে মা’নসিক চা’পে রাখতেন। তার মা তাকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে চাইলে মামুন নিষেধ করেন। ওই বি’ষয় নিয়ে ওই রাতে তার মায়ের সঙ্গে মামুনের ঝামেলা হয়েছিল। মামুন হয় তার মাকে হ’’ত্যা করেছেন অথবা আত্মহ’’ত্যায় উৎসাহ দিয়েছেন।

ম’রদেহের ম’য়নাত’দন্তের বি’ষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার বলেন,প্রাথমিকভাবে তার গ’লায় দাগ ছাড়া শরীরে আ’ঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃ’ত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এ জে মিন্টু বলেন, নি’হতের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দীন বা’দী হয়ে একটি অপমৃ’ত্যুর মা’মলা করেছেন। কিন্তু ওই শিক্ষিকার মৃ’ত্যুর সঙ্গে মামুন জ’ড়িত এমন দাবি করেছেন নি’হতের স্বজনরা। ওই ভাড়া বাড়িতে নি’হতের সঙ্গে মামুন থাকতেন। এতে খায়রুনের মৃ’ত্যুর সঙ্গে মামুনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে এমন ধারণা থেকে তাকে ওই মা’মলায় ৫৪ ধারায় গ্রে’প্তার দেখিয়ে আ’দালতের মাধ্যমে কা’রাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার সকাল ৭টায় নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসাইনকে আ’টক করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে কা’রাগারে রয়েছেন।