সেই রাতে খাইরুনকে লা’থি মে’রে বাইরে চলে যান স্বামী মামুন

| আপডেট :  ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৯ অপরাহ্ণ

নাটোরে কলেজশিক্ষক খায়রুন নাহারের মৃ’ত্যুর ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে কা’রাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আ’দালত।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে জে’লা আ’দালতের সিনিয়র জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন জা’মিন নামঞ্জুর করে কা’রাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত রোববার সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের ম’রদেহ উ’দ্ধারের পর মামুনকে আ’টক করা হয়।

নি’হত শিক্ষিক মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজে’লার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজে’লার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। আ’টককৃত ব্যক্তির নাম মামুন (২২)। তিনি নাটোর এন এস স’রকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

সদর থানার পরিদর্শক (ত’দন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে ম’রদেহ উ’দ্ধারের পর মামুনকে আ’টক করা হয়। এ ঘটনায় জি’জ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার দুপুরে তাকে আ’দালতে পাঠানো হয়।

মা’মলার ত’দন্ত চলছে দাবি করে তিনি বলেন, মামুনের ব্যাপারে আদেশ দেবেন আ’দালত। আর ত’দন্ত শেষে ওই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে স্বামী মামুন তাদের দাম্পত্য ক’লহের কথা স্বীকার করেছেন। মামুন জানান, ‘শনিবার রাত ২টায় দুজনের ঝ’গড়া হলে তিনি খাইরুনকে লা’থি মে’রে বাইরে চলে যান’।

এরপর শিক্ষক খাইরুন নাহার বেশ কয়েকবার ফোন করলেও মামুন ফোন রিসিভ করেননি। এতে ক্ষো’ভে খাইরুন নাহার আত্মহ’’ত্যা করেছেন বলে জানান মামুন। সেদিন রাত ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে মামুনের ঘোরাঘুরির তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গুরুদাসপুর উপজে’লার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক ক’লহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি স’ন্তান রয়েছে।

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।